National

পুরনো বাড়ির মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল গুপ্তধন

মাটির তলা থেকে বেরিয়ে এল গুপ্তধন। যা নিয়ে এখন সরগরম গোটা এলাকা। দেবস্থান তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। তখনই পাওয়া যায় গুপ্তধনের সন্ধান।

Published by
News Desk

একটি মন্দির নির্মাণ হবে। সেজন্য মাটিকাটার কাজ চলছিল। নির্মাণ কাজের জন্য জমি তৈরি করতে জোরকদমে চলছিল কাজ। যে হনুমান মন্দিরটি তৈরি করা হবে সেই জায়গায় প্রচুর মাটি ফেলা দরকার। সেজন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি কেটে এনে সেখানে ফেলা হচ্ছিল।

মন্দির নির্মাণের মাটির জন্য ওই গ্রামের প্রাক্তন প্রধানের একটি পুরনো বাড়ির সামনে থেকেও মাটি কাটা হয়েছিল। জেসিবি দিয়ে সেখান থেকে মাটি তুলে এনে মন্দিরের জন্য নির্দিষ্ট জমিতে মাটি ঢালার সময় জেসিবি যিনি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তাঁর নজরে পড়ে মাটির সঙ্গে চকচকে কিছু পড়ছে মাটিতে।

তাঁর বুঝতে অসুবিধা হয়নি সেগুলি দামি কোনও মুদ্রা। দ্রুত খবর যায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। পুলিশ সহ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞেরা হাজির হন সেখানে। হাজির হন যাঁর জমি থেকে তোলা মাটির সঙ্গে সেগুলি পাওয়া যায় সেই প্রাক্তন সরপঞ্চ সন্তোষীলাল ধাকড়।

তিনি জানান যেখান থেকে মাটি কাটা হয়েছে সেটি তাঁর পূর্বপুরুষের জমি। যে জমি যেমন ছিল তেমনই রাখা হয়েছিল। কখনও সেখানে মাটিকাটা হয়নি।

মুদ্রাগুলি পরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে সেগুলি রূপো ও পিতলের মিশ্রণে তৈরি। মধ্যযুগ বা মোগল আমলের সময়ের মুদ্রা সেগুলি। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।

পুলিশ ২০ থেকে ২৫টি মুদ্রা উদ্ধার করেছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন এমন মুদ্রা ৫০ থেকে ৬০টি থাকতে পারে। যেখানে মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে তার আশপাশের জমিতেও এই মুদ্রার খোঁজ চালানো হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার সাগোরিয়াপুরা গ্রামে এই মুদ্রাগুলি পাওয়া গিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk