বৃষ্টিতে ভেঙে পড়া ব্রিজের ওপর চড়ে কেক কেটে অভিনব উৎসব স্থানীয়দের
এমন এক অভিনব ভাবনার কথা ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। এভাবেও যে কত কিছু বলা যায় তা দেখিয়ে দিলেন কয়েকজন স্থানীয় মানুষ। ভাঙা ব্রিজে হল কেক কাটা।

গত ১৯ জুনের কথা। বানাই নদীর ওপর তৈরি ব্রিজটি ভেঙে পড়ে হুড়মুড় করে। কংক্রিটের শক্তপোক্ত ব্রিজ। সারাক্ষণ যার ওপর দিয়ে যান চলাচল করত। স্থানীয় বহু মানুষের ভরসা ছিল এই ব্রিজটি।
যোগাযোগের সেই অন্যতম ভরসা চোখের সামনে ভেঙে পড়ার পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রাথমিকভাবে ধাক্কা খান। তাঁদের আশা ছিল সরকার নিশ্চয়ই এই ব্রিজের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্রিজটি ফের তৈরি করে দেবে।
কিন্তু তারপর বর্ষার প্রবল বর্ষণ চলেছে। ২ মাস কেটেও গেছে। কিন্তু ব্রিজ যেমন ভাঙা তেমনই পড়ে আছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাই ব্রিজ ভাঙার ২ মাস পালন করলেন ওই ভেঙে পড়া ব্রিজের ওপর।
সেখানেই কাটা হল কেক। একে অপরকে কেক খাইয়ে হল উৎসব পালন। অবশ্যই এই কেক কেটে উৎসব পালনে কোনও আনন্দ ছিলনা, ছিল চাপা ক্ষোভ আর সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত বিক্ষোভ।
ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলায় এই ভাঙা ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে এক অভিনব প্রতিবাদ ও ক্ষোভ উগরে দেওয়া গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তাঁরা পথ অবরোধের মত কোনও পদক্ষেপ করতেই পারতেন। কেন সরকার ২ মাস পরেও এই ব্রিজ মেরামতি নিয়ে এক পাও এগোয়নি তা জানার জন্য গাড়ি আটকাতে পারতেন। ধর্না দিতে পারতেন।
কিন্তু এর কোনও রাস্তায় তাঁরা হাঁটেননি। কারণ তাঁরা জানেন এতে সরকারের সুবিধা হবে। সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। তাই তাঁরা এমন এক পথ নিয়েছেন যা সরকার থেকে সাধারণ মানুষের নজরও কাড়বে আবার প্রতিবাদও হবে উৎসবের মেজাজে। এখন দেখার তাঁদের এই কেক কাটা প্রতিবাদে কতটা কাজ হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা