আধুনিকতার সঙ্গে মিশে গেল শতাব্দী প্রাচীন জ্ঞান, দেশে ফের খুলল হোরটাস মালাবারিকাস
দেশে ফের খুলে গেল সপ্তদশ শতকের হোরটাস মালাবারিকাস। ২৭ একর জমির ওপর মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল আধুনিক ভাবনা ও শতাব্দী প্রাচীন জ্ঞান।

এ চত্বরে প্রবেশ করা মানে এক অন্যই অনুভূতি। ২৭ একর জমির ওপর ছড়িয়ে আছে অগুন্তি বিভিন্নতা। সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরি এক ক্ষেত্র যার দরজা নতুন করে খুলে গেছে মানুষের সামনে।
তার আগে দশকের পর দশক ধরে চলেছে একে ফের নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ। ল্যাটিন শিল্পকীর্তির এক অভিনব উপহার হোরটাস মালাবারিকাস। কেরালার ত্রিশূর জেলার নেদুমপুরায় অবস্থিত এই বোটানিক্যাল গার্ডেন কয়েক শতাব্দী প্রাচীন।
এখানে ছড়িয়ে আছে প্রচুর গাছগাছালি। যার নানা গুণ। ১ হাজার ২০০ রকম প্রজাতির গাছ রয়েছে এখানে। যাকে গার্ডেন অফ মালাবার বলা হয়। ল্যাটিনে সেটাই হোরটাস মালাবারিকাস।
নেদারল্যান্ডস থেকে আসা হেনড্রিক ভ্যান রিডি এই বাগানটির জন্ম দেন ১৬৭৮ থেকে ১৬৯২ সালের মধ্যে। তবে তিনি একা এটার রূপ দিতে পারেননি। এটি তিনি কেরালারই সে সময়ের বিখ্যাত চিকিৎসক অচ্যুতানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন।
এখানে সেসব গাছেই জোর দেওয়া হয় যার ওষধিগুণ অপরিসীম। এছাড়া পশ্চিমঘাট পর্বতমালা থেকে আনা ৭০০টি বিশেষ গুণ সম্পন্ন গাছ এখানে জায়গা পায়।
বাগানটির দীর্ঘকাল ধরে সংস্কারের কাজ চলছিল। অবশেষে এটি ফের খোলে গত জানুয়ারি মাসে। এই জায়গা যেমন উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের কাছে এক পীঠস্থানের মত, তেমনই এটি পর্যটকদের কাছেও দারুণ আকর্ষণীয়।
কারণ এ চত্বরে রয়েছে প্রচুর গাছ, সবুজের আবাহন আর অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ছাত্রছাত্রীদের কাছেও এটি দেখার জিনিস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা