National

ছেলেকে কলেজে শুধু ছাড়তে আসেন না, ছেলের সঙ্গে ক্লাসও করেন সহপাঠিনী মা

অনেক সময় স্কুটারে করে ছেলেকে নিয়ে কলেজে পৌঁছে দিয়ে যেতে দেখা যায় মা বাবাকে। এক্ষেত্রে তেমনটা যেমন হয়, তেমন ছেলের সঙ্গে একই ক্লাসে বসে ক্লাসও করেন মা।

ছেলে আর মা একই ক্লাসে বসে আছেন। শিক্ষক পড়াচ্ছেন। ২ জনই প্রয়োজনীয় নোটস নিচ্ছেন। পড়া ধরলে উত্তর দিচ্ছেন। হোম ওয়ার্কও করছেন। আবার ছুটি হলে একসঙ্গে বাড়িও ফিরছেন ২ জনে।

এই দৃশ্য এখন ওই কলেজে সকলের চোখ সয়ে গেলেও অন্যদের নজর কাড়ছে। পূর্ণিমা নামে ওই বছর ৪০-এর মহিলা তাঁর ১৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে কলেজে আসেন স্কুটারে। এমন নয় যে তিনি ছেলেকে পৌঁছতে আসেন। একসঙ্গে ক্লাসও করতে আসেন। কলেজের চত্বরে তাঁরা মা ছেলে নন, সহপাঠী!

ছেলে বৈষ্ণব প্রথম বর্ষের ছাত্র। বিকম নিয়ে পড়াশোনা করছেন। সেখানে তাঁর মা পূর্ণিমা আবার বিকম নয়, ইংরাজির ছাত্রী। তিনিও প্রথম বর্ষে পড়ছেন। ২ জনের বিষয় আলাদা হলেও ভাষার ক্লাসে তাঁরা একসঙ্গেই ক্লাস করেন। সে ক্লাসে তাঁরা একসঙ্গেই বসেন। পড়া শোনেন। উত্তর দেন।

কলেজ শেষ হলে মা ও ছেলে একসঙ্গেই কলেজ থেকে বেরিয়ে আবার স্কুটারে চেপে বাড়ি ফেরেন। মা তাঁর সহপাঠী! এটা নিয়ে কলেজে তাঁকে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হয় কি? বৈষ্ণব অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর এ নিয়ে কোনও লজ্জা বা সংকোচ নেই।

মা ও ছেলের একসঙ্গে একই কলেজে পড়ার এই ছবি একেবারেই অপরিচিত। ফলে তা নজর কেড়েছে সকলের। খবরের শিরোনামেও জায়গা করে নিয়েছে।

কেরালার কোথামানগলম এলাকার এমএ কলেজের পূর্ণিমা ও বৈষ্ণবের সহপাঠী হিসাবে পড়ার খবর সকলের জানা। পূর্ণিমা জানিয়েছেন তিনি পড়তে চাইলেও নানা কারণে কম বয়সে তাঁর পড়া এগোয়নি। বিয়েও হয়ে যায়। ২ সন্তানও হয়ে যায়।

তবে তাঁর স্বামী তাঁকে উৎসাহ দিতেন স্নাতক হওয়ার জন্য। তাই যখন সুযোগ পেলেন তখন ছেলের সঙ্গে এক কলেজেই নিজের স্বপ্ন পূরণে ক্লাস করছেন পূর্ণিমা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *