কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে স্কুলের ক্লাসঘর, প্রতীকী ছবি
শৈশবে মাতৃভাষার অক্ষরজ্ঞান যেমন শেখে একটি শিশু, তেমনই শেখে ইংরাজি হরফ। কারণ ভারতে ইংরাজি ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই অভিভাবকরাও চান তাঁদের সন্তান যেন ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য ইংরাজি ভাষার প্রতি দখলটা রাখতে পারে।
সেজন্য শিশুদের নার্সারি স্কুলে ভর্তিও করে দেন তাঁরা। যেখানে খেলার ছলে তার মতই ছোটদের সঙ্গে মিশে একটি শিশু এবিসিডি থেকে ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর এসব শিখতে পারে।
এই নার্সারি স্কুলে পড়ানোর খরচ নির্ভর করে সেই স্কুলের প্রচার, সুযোগসুবিধা, সুনাম ও পরিকাঠামোর ওপর। তবে তা কত হতে পারে তার সম্বন্ধে একটা ধারনা সকলেরই আছে। সেটা যে মাসে ২১ হাজার টাকা হতে পারেনা সেটাও সকলের জানা।
কিন্তু হায়দরাবাদ শহরের একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়াতে গেলে খরচ হচ্ছে ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা। যে ফি এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে এবং মানুষ হতবাক হয়ে গেছেন নার্সারিতে পড়ানোর খরচ দেখে।
অনুরাধা তিওয়ারি নামে জনৈকের এক্স হ্যান্ডলে অর্থাৎ পূর্বতন ট্যুইটারে বিষয়টি সামনে এসেছে। তারপর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। ভারতে এখন এবিসিডি শিখতে গেলেও বছরে আড়াই লক্ষ টাকা গুনতে হচ্ছে! মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবী মানুষজন তাহলে কোথায় যাবেন? তাঁদের সন্তানদের কোথায় পড়াবেন?
এই বিপুল অর্থ ফি নেওয়ার পিছনে কারণ জানতে চেয়েছেন অনেকে। অনেকের মতে, স্কুলের একটি শিশুকে নার্সারিতে পড়াতে কি খরচ হয় যে তারা এই বিপুল অঙ্কের ফি চাইছে। অনেকে আবার পরিস্কার জানিয়েছেন, যদি ওই টাকা দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে অভিভাবকরা ওই স্কুলে না পাঠালেই হল।