বর্ষায় বেহাল ব্রিজ, ছবি - আইএএনএস
নদীর ওপর ১৯৮০ সালে এই ব্রিজটি তৈরি হওয়ার পর ১৫০টি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনের ছন্দ বদলে গিয়েছিল। স্কুল, কলেজ, অফিস, হাসপাতাল, দোকানবাজার সবই ১ কিলোমিটারেরও অনেক কম দূরত্বের ব্যবধানে চলে আসে। সহজেই যাতায়াত করা সম্ভব হয় সকলের।
ফলে এই গ্রামগুলির মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। সেই মানুষগুলোই এখন কার্যত আতান্তরে পড়ে গেছেন। কারণ তাঁদের এখন এই অর্ধেক কিলোমিটারের সুবিধা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটারে।
এখন ১৫০টি গ্রামের বাসিন্দাদের যদি স্কুল, কলেজ থেকে অফিস, আদালত, হাসপাতালে পৌঁছতে হয় তাহলে তাঁদের ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। এছাড়া উপায় নেই।
কারণ ওই ব্রিজের বেহাল দশা। টানা বৃষ্টিতে নদীর স্রোত ও উচ্চতা ব্রিজটির ভয়ানক ক্ষতির কারণ হয়েছে। ব্রিজটি কয়েক জায়গায় ভেঙে গেছে। ব্রিজের ওপর রাস্তা ভেঙে নেমে গেছে। ফলে তার উপর দিয়ে আর কোনও যানবাহন তো নয়ই, কোনও মানুষ হেঁটেও পার করতে পারছেন না।
ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলার এই ১৫০টি গ্রাম তাই বলা ভাল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সদরের সঙ্গে। জামতারা ও দেওঘরের মধ্যে যোগসূত্র বলতে ছিল এই দক্ষিণ বহাল ব্রিজ। যা শুধু একটা ব্রিজ ছিলনা, ছিল ১৫০টি গ্রামের মানুষের লাইফ লাইন।
সেই ব্রিজই এখন চলাফেরার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে। তাই ফের ওই ১৫০টি গ্রামের মানুষকে ফিরে যেতে হয়েছে ১৯৮০ সালের আগের ভয়ংকর যোগাযোগ ব্যবস্থায়। যেখানে তাঁদের সদরে পৌঁছতে ঘুরপথে পার করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা