মাটির তলায় মিলল ৮টি হিরে, রাতারাতি বদলে গেল শ্রমিক দম্পতির ভাগ্য
তাঁরা যেখানে থাকেন সেই মাটির তলা থেকে মিলল ৮টি হিরের টুকরো। যা কার্যত রাতারাতি তাঁদের জীবন বদলে দিল। তাঁদের কাহিনি এখন মুখে মুখে ঘুরছে।

গ্রামের যেখানে তাঁরা থাকেন সেখানে তাঁরা মাটি কোপাচ্ছিলেন। নিজেদের জমিতেই কাজ করছিলেন। তবে চাষের জন্য নয়। কিছু খোঁজার জন্য। যদি কিছু পাওয়া যায়। তাঁদের সেই লড়াই বৃথা যায়নি। মাটির বেশি নিচে পর্যন্ত খুঁড়তে হয়নি।
তার আগেই তাঁরা পেয়ে গেলেন বহুমূল্য রত্ন। হাতে এল হিরে। তাও আবার ১টা নয়। একসঙ্গে ৮টি ছোট বড় টুকরো। অবশ্যই আকরিক রূপে। যা হাতে পাওয়ার পর তাঁরা নিজেদের ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে পারছিলেননা।
বুঝতে পারছিলেন তাঁদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার কাটিয়া গ্রামে এই শ্রমিক দম্পতি এখন কাহিনিতে রূপান্তরিত হয়েছেন। মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে তাঁদের এই হিরে প্রাপ্তির গল্প।
বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে অবস্থিত পান্না জেলায় একটি নিয়ম রয়েছে। জেলা প্রশাসনের নিয়ম হল এখানে যে অংশটি খনি এলাকা, সেখানে বিভিন্ন গ্রামে মানুষকে থাকার জন্য লিজে যে জমি দেওয়া হয়েছে, সেখানে মাটির তলা থেকে হিরে পাওয়া গেলে তা তাঁদের ডিসট্রিক্ট মাইন অফিসে জমা করতে হবে।
তবে তাঁদের এই প্রাপ্তিযোগ বৃথা যাবেনা। ওই আকরিক হিরেকে সঠিক অবস্থায় এনে তার নিলাম হবে। সেই নিলাম থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে তার ১২.৫ শতাংশ অর্থ যিনি মাটির তলা থেকে সেটি পেয়েছেন তাঁকে প্রদান করা হবে।
অর্থাৎ ওই শ্রমিক দম্পতি তাঁদের পাওয়া ৮টি হিরের নিলামে যা দাম উঠবে তার ১২.৫ শতাংশ অর্থ হাতে পেয়ে যাবেন। সেটাও নেহাত কম টাকা হবেনা। প্রসঙ্গত পান্না ভারতের এমন এক জায়গা যা হিরের খনির জন্য বিখ্যাত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা