এক নারীকে বিয়ে করলেন ২ ভাই, ধুমধাম করে হল বিয়ে
২ ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেল। তবে তাঁদের স্ত্রী একজনই। বিয়েটা হলও বেশ ধুমধাম করে। প্রথা মেনে। যার আইনি দিক নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অনেকের মনে।

এ প্রথা আজকের নয়। বহুদিন ধরে চলে আসছে এই প্রথা যেখানে এক নারী একাধিক পুরুষকে বিয়ে করতেই পারেন। সেই একাধিক পুরুষ সাধারণত একে অপরের ভাই হন। সেই প্রথারই এক উদাহরণ হয়ে সামনে উঠে এল এক নারীর সঙ্গে ২ ভাইয়ের বিয়ে।
যা বেশ ধুমধাম করেই সম্পূর্ণ হল। হিমাচল প্রদেশের হাত্তি সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই বহুপতিত্ব প্রথা বর্তমান। এর শিকড় জুড়ে আছে মহাভারতের সঙ্গে।
মহাভারতে পঞ্চপাণ্ডবের পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দ্রৌপদীর। ৫ ভাই ছিলেন দ্রৌপদীর স্বামী। সেই কথা মাথায় রেখেই এই হাত্তি সম্প্রদায় এখনও এক নারীর সঙ্গে একাধিক ভাইয়ের বিয়ের প্রথা বাঁচিয়ে রেখেছে। বিশেষ আইন বলে এই হাত্তি সম্প্রদায়কে এই প্রথা পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এই প্রথাকে বলা হয় জোড়িদারা প্রথা। ৩ দিনের বিয়েতে এখানে পাত্র পাত্রীর বাড়িতে বিয়ে করতে আসেন না। বরং পাত্রী যান পাত্রদের বাড়িতে ধুমধাম করে। সেখানেই পালিত হয় প্রথা রীতি। নিয়ম মেনে হয় একাধিক ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে।
এমনই এক বিয়ের সাক্ষী থাকলেন হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের মানুষজন। যেখানে সুনিতা চৌহান বিয়ে করলেন ২ ভাই প্রদীপ নেগি ও কপিল নেগিকে।
এই নিয়ম যে আজও পালিত হচ্ছে তাতে খুশি এই হাত্তি সম্প্রদায়ের মানুষজন। কারণ তাঁদের মতে, ক্রমে এই রীতি বিলুপ্তির পথে। এখন তাঁদের নতুন প্রজন্ম পড়াশোনা করছেন। অন্যত্র কর্মসূত্রে পাড়ি দিচ্ছেন। তাঁরা এই প্রাচীন রীতি মানতে নারাজ। তাঁরা এক নারী ও এক পুরুষের বিয়েকেই সঠিক মনে করছেন।
এই বিবাহ রীতি তৈরি হওয়ার পিছনে অবশ্য কারণ রয়েছে। পাহাড়ি এলাকার ৪০০-র ওপর গ্রামের মানুষ হাত্তি সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়েন। এখানে জমি অত্যন্ত মূল্যবান। কারণ চাষাবাদ কমই হয়।
তাই ২ ভাইয়ের ২টি আলাদা সংসার হলে সেখানে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেটা আটকাতে এক স্ত্রী নিয়েই ঘর করতে হয় সব ভাইকে। এতে সম্পত্তি রক্ষিত হয়। সকলে মিলেই সন্তানদের বড় করে তোলেন।