ভক্তদের হাতে একটা করে জ্যান্ত সাপ, প্রাচীন প্রথা মেনেই পালিত হয় এই মেলা
প্রায় প্রত্যেকের হাতে একটা করে সাপ। প্রতিটি সাপই জ্যান্ত। দেখলে হাড় হিম হতে পারে। কিন্তু এটাই প্রথা। এভাবেই প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে এই মেলা।

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সবচেয়ে বেড়ে যায়। ভারতের শহর পার করলেই সাপের অভাব নেই। গ্রামাঞ্চলে সাপের সঙ্গেই প্রায় ঘর করেন মানুষজন। সাপের দংশনের ঘটনাও প্রতিবছরই আকছার ঘটে।
সাপের প্রকোপ থেকে যাতে তাঁরা রক্ষা পান সেজন্য প্রতিবছরই বিহারের সমস্তিপুরের সিংঘিয়া ঘাটের ধারে বসে নাগপঞ্চমী মেলা। এ মেলায় অংশ নিতে বিহারের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ হাজির হন।
তবে এ মেলা আর পাঁচটা মেলার চেয়ে আলাদা। কারণ এ মেলা যে পুজোকে কেন্দ্র করে হয় তা হল সাপের পুজো। আর এখানে আসা প্রায় প্রতিটি মানুষ হাতে করে সাপ নিয়ে হাজির হন।
কোনও নকল সাপ নয়। প্রত্যেকের হাতে থাকে জ্যান্ত সাপ। কেউ হাতেই নিয়ে আসেন। কেউ গলায় জড়িয়ে নেন। কেউ মাথায় চেপে ধরে নিয়ে আসেন। আবার কেউ লাঠিতে পেঁচিয়ে সেই লাঠি নিয়ে হাজির হন। তবে প্রত্যেকের সঙ্গেই থাকে একটি করে জ্যান্ত সাপ।
সিংঘিয়া বাজারে মা ভগবতীর পুজো দিয়ে ভক্তরা সাপ হাতে এগিয়ে যান বুধি গণ্ডক নদীর ধারে। বিহারের অনেক জায়গায় সাপের দেবী হিসাবে মাতা বিষহরী-র পুজো করা হয়।
এখানে তাই মাতা বিষহরীর নাম করতে করতে সকলে বুধি গণ্ডক নদীর ধারে উপস্থিত হয়ে পুজো করেন। তারপর অনেকেই নাগপঞ্চমী মেলায় শরিক হন।
বলা হয় এখানে এত মানুষ হাতে করে জ্যান্ত সাপ নিয়ে এলেও এখনও কাউকে সাপে কাটার ঘটনা ঘটেনি। পুজোর পর এই সাপগুলিকে ভক্তরাই আবার আশপাশের জঙ্গলে ছেড়ে দেন।