বদলে যেতে পারে ভারতের ইতিহাস, মাটির তলায় পাওয়া গেল গোলাকার কাঠামো, পুরনো দেওয়াল, ঘর
বদলে যেতে পারে ভারতের চেনা ইতিহাস। মাটির তলায় বিশেষ প্রযুক্তিতে নজরদারি চালিয়ে বিশেষজ্ঞেরা যা দেখতে পেলেন তা পুরনো ধারনাই বদলে দেবে।

একটি গ্রামের মাটির তলায় আইআইটি কানপুরের বিশেষজ্ঞেরা বিশেষ প্রযুক্তিতে নজরদারি চালিয়ে যা পেলেন তাতে ভারতের চেনা ইতিহাস নতুন করে লিখতে হতে পারে। তেমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
মাটি এতটুকুও খুঁড়তে হয়নি। কেবল অ্যাডভান্সড গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মাটির ৬ থেকে ৭ ফুট নিচে যা দেখতে পেলেন আইআইটি কানপুরের বিশেষজ্ঞেরা তাতে তাঁদের ধারনা সেখানে বৌদ্ধ স্তূপ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য গোলাকার কাঠামো দেখতে পেয়েছেন। দেখেছেন পুরনো দেওয়াল আর দেখেছেন ঘর বা চেম্বার। এগুলির মধ্যে অবশ্য কি রয়েছে তা দেখা সম্ভব হয়নি।
তবে বিশেষজ্ঞরা হরিয়ানার যমুনানগর জেলার টোপরা কালান গ্রামে এই পরীক্ষা চালিয়ে যা দেখলেন তাতে তাঁরা মনে করছে যা রয়েছে তা ২ হাজার বছর পুরনো স্থাপত্য। গোলাকার কিছু মানেই কি বৌদ্ধ স্তূপ?
সেটা নাও হতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের অনুমান ওটা বৌদ্ধ স্তূপই। আর তা যদি হয় তাহলে বৌদ্ধধর্মের ব্যাপ্তি ভারতে কোথায় পৌঁছেছিল তার ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে।
ইতিমধ্যেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-র কাছে ওই অংশে খননকার্য চালানোর জন্য অনুমতি চেয়েছে আইআইটি কানপুরের ওই বিশেষজ্ঞ দলটি। তারা মনে করছে মাটি খুঁড়ে যেগুলি রয়েছে সেগুলি চোখে দেখতে পারলে তার ইতিহাস বলে দেওয়া অনেক সহজ হবে।
সেগুলি কোন সময়ের, কারা তৈরি করেছিল, সবই পাওয়া যাবে। এই আবিষ্কার এক ইতিহাস বদলে দেওয়া আবিষ্কার বলেই মনে করছেন আইআইটি কানপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাভেদ মালিক।
তাঁর মতে, খননকার্য চালাতে পারলে শুধু ওই কাঠামোই নয়, হয়তো আরও বিশাল জায়গা জুড়ে এমন কাঠামো পাওয়া যেতে পারে। শুধু টোপরা কালান গ্রাম বলেই নয়, ৩টি জায়গায় তাঁরা আধুনিক প্রযুক্তিতে ইতিহাস খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত ওই টোপরা কালান গ্রাম বা তার আশপাশের গ্রামে মাটির ওপরেও কিছু অতি প্রাচীন ইটের দেখা আগেই পেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা