কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে প্রকৃতি, প্রতীকী ছবি
৫১টি শক্তিপীঠের কথা তো সকলের জানা। সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে মহাদেবের তাণ্ডব শান্ত করতে ভগবান বিষ্ণু তাঁর সুদর্শনচক্র দিয়ে সতীর দেহের ছোট ছোট টুকরো করতে থাকেন। যেগুলি এক একটি স্থানে পড়তে থাকে। এভাবে দেহটি ৫১টি টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে নানা স্থানে। শান্ত হন মহাদেব।
সেই ৫১টি খণ্ড যেখানে যেখানে পড়েছিল সেখানেই একটি করে শক্তিপীঠ স্থাপিত হয়। ভারতে সবচেয়ে বেশি শক্তিপীঠ রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, তিব্বত ও শ্রীলঙ্কায় রয়েছে শক্তিপীঠ। এভাবে ৬টি দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে শক্তিপীঠ।
৫১টি শক্তিপীঠই একজীবনে দর্শন করা সহজ কাজ নয়। তবে এবার শক্তিপীঠের একটা আভাস পাওয়া যেতে পারে। ত্রিপুরার বনদুয়ারে এই পার্কটি তৈরি করা হবে। যা তৈরির সবুজ সংকেত মিলেছে।
৫২৪ বছর পুরনো ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে এই বনদুয়ারে যে পার্কটি তৈরি হবে তা তৈরি করতে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ৯৭ কোটি টাকা। এই পার্ককে আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য হিসাবে তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এই অন্য ভাবনার পার্কের শিলান্যাস এখন সময়ের অপেক্ষা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা শিলান্যাস করতে চলেছেন। যা তৈরি হলে ত্রিপুরার পর্যটন মানচিত্রে এক নতুন সংযোজন যেমন হবে, তেমন প্রচুর মানুষের ভিড় হবে এখানে। ত্রিপুরার গোমতী জেলায় তৈরি হতে চলা এই পার্ক ৫১ শক্তিপীঠ পার্ক নামে খ্যাত হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা