বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র তিনিই বেঁচে গিয়েছেন, কীভাবে সম্ভব হল, সেকথা জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে
আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে মাত্র ১ জনই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। কীভাবে সম্ভব হল সেই আশ্চর্য রক্ষা, সেকথাই শোনালেন প্রধানমন্ত্রীকে।

আমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমানটি ২৪২ জনকে নিয়ে ওড়ার পরই ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ে একটি চিকিৎসকদের হস্টেলে।
এমন ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা গোটা বিশ্বকে শিহরিত করেছে। বিমানটি ভেঙে পড়ার পর একরকম সকলে ধরেই নেন যে কেউ আর জীবিত নেই। বিমানে আগুনও লেগে যায়। কিন্তু সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আচমকাই নজর কাড়েন এক ব্যক্তি।
আহত অবস্থায় তিনি ওই ভাঙাচোরার ওপর দিয়েই কোনওক্রমে হেঁটে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে আমেদাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
বিশ্বাস কুমার রমেশ নামে ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ওই দুর্ঘটনায় একমাত্র বেঁচে যাওয়া মানুষটি জানান কীভাবে তিনি রক্ষা পেলেন।
বিশ্বাস কুমার রমেশ জানান, বিমানে তাঁর দাদাও ছিলেন। তিনি রক্ষা পাননি। বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার পর একটু উড়েই কেমন যেন থমকে যায়। তারপর সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে একটি বাড়িতে। এই ধাক্কার আগের কয়েকটা মুহুর্ত ভয়ংকর ছিল।
সকলে চিৎকার করছিলেন। আর্তনাদ করছিলেন। তিনি নিজেও নিশ্চিত ছিলেন যে বাঁচার আর কোনও আশা নেই। তাঁর সিট ছিল পিছনের দিকে। আর বিমানটি সামনে থেকে ধাক্কা মারে। বিশ্বাস কুমার রমেশের ধারনা এটাই ছিল তাঁর বেঁচে যাওয়ার কারণ।
ধাক্কার পরও পিছনে থাকায় তিনি আঘাত পেলেও সে আঘাত প্রাণঘাতী ছিলনা। এদিকে এদিন বিশ্বাস কুমার রমেশের সঙ্গে দেখা করার পর প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের হস্টেলের আহত পড়ুয়াদের সঙ্গেও দেখা করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা