গির অভয়ারণ্যে সিংহ, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই ছড়িয়ে আছে নানা অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যানের তকমা পাওয়া জঙ্গল। যা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। এমন ২৭টি জঙ্গলে সাধারণ মানুষের বেড়াতে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হল। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বেড়ানোর জন্য আর ওই সব জঙ্গলে প্রবেশ করা যাবেনা।
ফলে যাঁরা ওইসব জঙ্গলে সিংহ থেকে ডোরাকাটা হায়েনা, কৃষ্ণসার হরিণ থেকে লেপার্ড, বন্য গাধা এবং আরও নানা জন্তুজানোয়ার ও পাখি দেখার টানে বেড়ানোর পরিকল্পনা করছিলেন, তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
কিন্তু কেন ৪ মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ওইসব জঙ্গলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ? বেড়াতে যাওয়ায় এমন বিধিনিষেধ কেন? যে ২৭টি অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যানে এই নিষেধাজ্ঞা ১৬ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে সবকটি জঙ্গলই গুজরাটে।
এই ৪ মাসকে ধরা হয় পশুপাখিদের মিলনের সময়। এই সময় তারা একান্ত নিশ্চিন্ত একটা পরিবেশ চায়। যেখানে মানুষের সংস্পর্শ থাকবেনা। পাখিরা এই সময় বাসাও তৈরি করে। এই ৪ মাসে পশুপাখিদের মিলন পুরো জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্রকে ধরে রাখে। তাদেরকেও একটা মানব বর্জিত প্রকৃতি উপহার দেয়।
তাই এই ৪ মাস তারা যাতে কোনওভাবেই বিরক্ত না হয় তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই ১২০ দিন জঙ্গলগুলিতে বন্ধ থাকছে মানুষের প্রবেশ। এই সময় সাধারণ মানুষ তো নয়ই, এমনকি জঙ্গলের দেখভালের দায়িত্বে থাকা বনকর্মী থেকে বন আধিকারিকরাও জঙ্গলে খুব দরকার ছাড়া প্রবেশ করেননা। পশুপাখিদের তাদের মত থাকতে দেন।
প্রতিটি জঙ্গলই এই সময় বর্ষা পায়। আর বর্ষা মানেই তাদের মিলনের সময়। এই সময় পার করে ১৫ অক্টোবর থেকে ফের এইসব জঙ্গলে বেড়াতে যেতে পারবেন ইচ্ছুক পর্যটকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা