National

অষ্টম বিয়ের জন্য সাজতে গিয়ে বিউটি পার্লারে ধরা পড়ে গেল যুবতী

অষ্টম বিয়েটা করতে যাচ্ছিল সে। সেজন্যই কনের সাজ সাজতে একটি বিউটি পার্লারে গিয়েছিল। সেখানেই নাটকীয়ভাবে ধরা পড়ে গেল এক ঠগ যুবতী।

বছর ৩০ বয়স। তাকে পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন দেখে ফোন করেন এক ব্যক্তি। সে কথা বলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে। স্থির হয় ২ জনে দেখা করবেন একটি শপিং মলে। সেখানে আলাপ হবে। তারপর একে অপরকে পছন্দ হলে বিয়ে। সেইমত মলে ২ জনের দেখা হয়।

যুবতী জানায় সে অনাথ। তাই তার আত্মীয় বলতে কেউ নেই। কয়েকজন পরিচিত আছে। ফলে ওই ব্যক্তি যদি তাকে বিয়ে করতেও চান তাহলেও তার পরিবারের তরফে কেউ কথা বলতে আসতে পারবেনা। কারণ অনাথ হওয়ায় তার তো পরিবারই নেই। ওই ব্যক্তি অবশ্য তাতে কিছু মনে করেননি। বিয়েতে রাজি হয়ে যান তিনি।

বিয়ের দিন স্থির হওয়ার পর বিয়ের আগে ওই ব্যক্তি যুবতীকে জানান তিনি তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে তাকে নিয়ে যেতে চান। যুবতী না করেনি। বিয়ের আগে ওই যুবতী তার হবু স্বামীর সঙ্গে পৌঁছে যায় ওই বাড়িতে।

সেখানে যুবতীর সঙ্গে কথা বলেন ওই ব্যক্তির বন্ধুর স্ত্রী। এখানেই প্রথম খটকার শুরু। বন্ধু পত্নী ওই ব্যক্তিকে জানান তাঁর একটা সন্দেহ হচ্ছে ওই যুবতীকে নিয়ে। তাই বিয়ের আগে তার সম্বন্ধে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।


ওই ব্যক্তি এরপর সতর্ক হয়েও যান। কেরালার কোট্টায়ামে রেশমা চন্দ্রশেখরণ নামে ওই যুবতী বিয়ের আগে কনের সাজ সাজতে একটি বিউটি পার্লারে যায়। সেই বিউটি পার্লারে আগে থেকেই কথা বলা ছিল।

ফলে সেখানে পৌঁছতে ওই যুবতীর ব্যাগ পরীক্ষা করেন বিউটি পার্লারের কর্মীরা। তখনই তার ব্যাগ থেকে অনেকগুলি বিয়ের কাগজপত্র পাওয়া যায়। বিউটি পার্লারেই তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে রেশমাকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে রেশমা চন্দ্রশেখরণ নামে ওই যুবতী এর আগে ৭ জনকে বিয়ে করেছে। প্রতিবারই সে বিয়ের পর সোনার অলঙ্কার, সোনার মঙ্গলসূত্র নিয়ে চম্পট দেয়। তারপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়না।

কিন্তু অষ্টম বিয়েটা করার আগেই তার সব জারিজুরি ধরা পড়ে গেল। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর বন্ধুর স্ত্রীর সন্দেহ রেশমাকে অষ্টম বিয়ে করে ঠকানোটা আর করতে দিল না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *