মাছ প্রসাদ পেতে হাঁপানি রোগীদের লম্বা লাইন, বছরে একবারই হয় বিতরণ
বছরে একবারই এটি বিতরণ হয়। একটি পরিবারের তরফে এই আয়োজনে কি খাওয়ানো হয় সেই ফর্মুলা গোপন থাকে। তাদের মাছ প্রসাদ হাঁপানি সারাতে অব্যর্থ বলে দাবি পরিবারের।

বাথিনি গৌড় নামে এক পরিবারের দাবি ১৮৪৫ সালে এক সাধু তাদের পূর্বপুরুষকে একটি পাঁচনের ফর্মুলা দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল একটাই। তাদের পরিবার এই পাঁচন কোথাও বিক্রি করতে পারবেনা। মানুষকে সুস্থ করতে সেটি বিনামূল্যে বিতরণ করতে হবে।
তারপর থেকে এই পরিবার প্রতিবছর বর্ষা শুরুর মুখে এই পাঁচন বিতরণের আয়োজন করে আসছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই গোপন ফর্মুলা গোপনই থেকেছে। এই পাঁচনটি একটি লেই-এর মত বস্তু। এক আঙুল সমান মাছ এই লেই ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও অনেক কিছু থাকে। যা কেবল ওই পরিবারের জানা। সেই লেই জাতীয় পাঁচনটি পরিবারের তরফে তৈরি করে হাঁপানি রোগীদের খাওয়ানো হয়। রোগীদের মুখে সঠিক পরিমাণে লেইটি দিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের তরফেই।
লাইন ধরে সকলে এগিয়ে আসেন। আর তাঁদের মুখে সেটি দিয়ে দেওয়া হয়। নিরামিষভোজীদের জন্য এটি গুড় দিয়ে তৈরি হয়। এই পেস্ট জাতীয় বস্তুটির পরিবারের তরফে নামকরণ করা হয়েছে ফিশ প্রসাদম বা মাছ প্রসাদ।
হায়দরাবাদের নামপল্লী মাঠে এই মাছ প্রসাদ বিতরণের আয়োজন হয়েছিল। ১৩টি কাউন্টার থেকে এই বিতরণ করা হয়। এটি পেতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাঁপানি রোগীরা ভিড় জমিয়েছিলেন এখানে। হাজার হাজার মানুষের লাইন পড়ে।
৪২টি লাইনের ব্যবস্থা করা হয়। তাতেও ২৪ ঘণ্টা টানা এই প্রসাদ নামক পাঁচন বিতরণ চালু রাখতে হয়। সরকারের তরফে এখানে আসা যাওয়ার জন্য বাস থেকে শুরু করে অন্য যানবাহনের আয়োজন করা হয়েছিল। ছিল কড়া সুরক্ষা বন্দোবস্ত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা