বিয়ের মাঝেই বরকে মণ্ডপ থেকে তুলে নিয়ে গেল নাচের দল
পারম্পরিক নিয়ম মেনে বিয়ে চলছিল। মণ্ডপে বর কনে। অনেকে বিয়ে দেখতেও চারধারে রয়েছেন। সেই সময় নাচের দলের কয়েকজন এসে মণ্ডপ থেকে তুলে নিয়ে গেল বরকে।

বিয়ের সবকিছুই সুন্দরভাবে চলছিল। খাওয়াদাওয়া হয়ে গিয়েছিল সকলের। মণ্ডপে বর কনেকে সাতপাকে বেঁধে দিতে মন্ত্রোচ্চারণ করে চলেছেন পুরোহিত। বরযাত্রীরা অনেকে আবার অন্য আনন্দে মত্ত। তাঁদের জন্যই নাচের ব্যবস্থা হয়েছিল। যাকে বিহারে বলা হল ‘লওন্ডা নাচ’।
সেই নাচ দেখছিলেন বরযাত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন কনের বাড়ির অতিথিরাও। রাত বাড়লে একসময় সেই নাচের অনুষ্ঠান শেষ করে নাচের দল। কিন্তু নাচ কেন থামল তা নিয়ে বিয়ের অতিথিদের সঙ্গে নাচের দলের ঝগড়া শুরু হয়।
নাচের দলের দাবি তাদের অনুষ্ঠান শেষ। অন্যদিকে বরযাত্রী সহ উপস্থিত অন্য অতিথিদের দাবি নাচ চালিয়ে যেতে হবে। এই নিয়ে ঝগড়া থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এক হুলস্থূল কাণ্ড শুরু হয়।
নাচের দলে একজন আঘাতও পায়। তখনকার মত তারা সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে রাত ২টো নাগাদ ফের কনের বাড়িতে ফিরে আসে নাচের দলের কয়েকজন।
তারপর কারও সঙ্গে কোনও কথা না বলে সোজা মণ্ডপে ঢুকে যেখানে বিয়ে চলছিল সেখান থেকে বরকে তুলে নিয়ে জোর করে গাড়িতে তোলে। তারপর সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়। বর এভাবে মণ্ডপ থেকে অপহৃত হওয়ার পর বিয়ের আনন্দ লাটে ওঠে। সকলে মিলে হাজির হন পুলিশের কাছে।
পুলিশ অপহৃত বরের খোঁজ শুরু করে। বিহারের গোপালগঞ্জে এই ঘটনা ঘটার পর সারারাত ধরে উদ্বেগে কাটান বর ও কনে পক্ষের সকলে। বর কোথায় তার খোঁজ পুলিশও পাচ্ছিল না। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার। শনিবার বেলায় বর সোনু শর্মাকে সিওয়ান জেলা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।