National

বালা ২টো তাঁর চাই, গোঁ ধরে মায়ের জন্য তৈরি চিতায় শুয়ে রইলেন ছেলে

মা পরলোকগমন করেছেন। তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে দাহকার্যের জন্য। সাজানো হয়েছে চিতা। আর ঠিক তখনই সকলকে অবাক করে সেই চিতায় শুয়ে পড়লেন ছেলে।

৭ পুত্রের ৬ জন একসঙ্গে থাকেন। তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন তাঁদের মা। কেবল ছোট ছেলে ওমপ্রকাশ আলাদা থাকেন। বছর চারেক ধরে তাঁর সঙ্গে তাঁর ৬ দাদার সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি চলছিল। মায়ের জীবদ্দশাতেই ছোট ছেলের সঙ্গে বাকি ৬ ছেলের এই অশান্তি চলছিল।

গত ৩ মে ভুরিদেবী নামে বৃদ্ধা পরলোকগমন করেন। তাঁর চলে যাওয়ায় পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। মায়ের প্রয়াণে ছোট ছেলেও ৬ দাদার সেই বাড়িতে হাজির হন।


পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা অন্ত্যেষ্টির আগে ভুরিদেবীর সব গয়না ও ২টি রূপোর বালা খুলে তাঁর বড় ছেলে গিরিধারীর হাতে তুলে দেন। তারপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।

সেখানে চিতা সাজানো হয়। এবার যখন ভুরিদেবীর নিথর দেহ সেই চিতায় তোলা হবে, ঠিক তার আগেই নাটকীয়ভাবে সেই চিতার ওপর গিয়ে শুয়ে পড়েন তাঁর ছোট ছেলে ওমপ্রকাশ। তিনি সাফ জানান, মায়ের দেহ দাহ করতে দেবেন না তিনি।


যতক্ষণ না তাঁর হাতে মায়ের রূপোর বালা সহ গয়না তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি এই চিতাতেই শুয়ে থাকবেন। এমন কাণ্ডে হতবাক হয়ে যান পরিবারের লোকজন সহ গ্রামবাসীরা।

সকলেই তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি কারও কোনও কথায় কান না দিয়ে যেমন চিতায় শুয়েছিলেন, তেমনই শুয়ে থাকেন। এমনভাবে প্রায় ২ ঘণ্টা চলার পর অবশেষে তাঁকে চিতা থেকে নামাতে বাড়ি থেকে ভুরিদেবীর সব গয়না ও রূপোর বালা এনে ওমপ্রকাশের হাতে তুলে দেন দাদারা।

গয়না হাতে পেয়ে ওমপ্রকাশ চিতা থেকেও নেমে আসেন। তারপর তাঁর মায়ের দেহ সৎকার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে। ওমপ্রকাশের এই আচরণ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button