National

নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে ২৮ লক্ষ নারকেল গাছ, কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন

২৮ লক্ষ নারকেল গাছ। রীতিমত চমকে যাওয়ার মত সংখ্যা। সেই সংখ্যক নারকেল গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে নির্বিচারে। এছাড়া উপায়ও নেই। কারণটা অবাক করবে।

Published by
News Desk

৪০ হাজার একর এলাকা জুড়ে শুধুই নারকেল গাছের সারি। গুনতে শুরু করলে শেষ করা যাবেনা। এসব নিজে থেকে তৈরি হয়নি। নারকেল চাষের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন অনেক পরিশ্রম করে এই নারকেল গাছের বিশাল অরণ্য তৈরি করেছেন।

কারণ নারকেল থেকে অর্থ উপার্জন। নারকেল গাছ থেকে ডাব পাওয়া যায়, নারকেল পাওয়া যায়, সেই নারকেল থেকে তেল পাওয়া পাওয়া যায়। যে নারকেল তেল দক্ষিণ ভারত জুড়ে ভোজ্য তেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

তামিলনাড়ুতে বাদাম তেলের পরই যে তেলটি ব্যবহার হয় সাধারণ জনজীবনে তা হল নারকেল তেল। ফলে এখানে নারকেল চাষ থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়।

ভারতে কর্ণাটকের পরই সবচেয়ে বেশি নারকেলের উৎপাদন হয় তামিলনাড়ুতে। সেখানেই কোয়েম্বাটুর জেলার ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে থাকা ২৮ লক্ষ নারকেল গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সবকটিকেই ধরাশায়ী করা হবে। পড়বে কুঠারাঘাত। কিন্তু কেন?

২০১৯ সাল থেকেই ফাইটোপ্লাজমা নামে একটি সংক্রমণ নারকেল গাছের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দেয়। যা বাড়তে থাকে। এটা থেকে নারকেল গাছকে রক্ষা করার জন্য কোনও ওষুধ নেই।

কেরালায় এমন এক রোগ দেখা দিয়েছিল আগেই। তবে সেখানে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই রোগ থেকে নারকেল গাছকে বাঁচানো হয়েছিল। তামিলনাড়ুর কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের রাজ্যসরকার এ বিষয়ে উদাসীন ছিল। যার ফল হল এই ২৮ লক্ষ নারকেল গাছ কেটে ফেলার বাধ্যবাধকতা।

তামিলনাড়ু সরকারের তরফে প্রতি হেক্টর পিছু ৩২ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হলেও তাতে মোটেও খুশি নন এই গাছ হারানো নারকেল চাষিরা।

তাঁদের দাবি, ফের নতুন করে ওই জমিতে নারকেল গাছ লাগিয়ে তার পরিচর্যা করে বড় করে তোলার খরচ হেক্টর প্রতি ১২ লক্ষ টাকার ওপর। তাই এ বিষয়ে তামিলনাড়ু সরকারের কাছে আরও বিবেচনা করার আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk