কিউআর কোড স্ক্যান করলে তবেই ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দেবে কংগ্রেস
ভোটে প্রার্থী কে হবেন তা যে কোনও দল দলীয় নিয়ম মেনে স্থির করে। কিউআর কোড স্ক্যান করে এবার যে কেউ কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার আবেদন করতে পারবেন।

ভোটে কে প্রার্থী হবেন তা চূড়ান্ত করে দল। সেই দলের প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তারপর দল একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেক্ষেত্রে দলের নিচের তলার কর্মীদের বড় একটা ভূমিকা থাকেনা। দলীয় নেতৃত্বই শেষ কথা।
কংগ্রেসের মত সর্বভারতীয় দল এবার কিন্তু অন্যভাবে দলীয় প্রার্থী স্থির করতে চলেছে। এমন এক পদ্ধতি যাতে স্বচ্ছতা থাকবে। কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীরাও চাইলে ভোটে দাঁড়ানোর আবেদন করতে পারবেন। কাউকে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত করছেনা কংগ্রেস।
এই ভাবনা এবার অভিনব উপায়ে আত্মপ্রকাশ করছে বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। যেখানে এবার কংগ্রেস ২৪৩টি কেন্দ্রে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আবেদনপত্র চাইছে।
আর তা করতে হবে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে। এই কোডটি স্ক্যান করে যে কেউ চাইলে কংগ্রেস প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে কিছু শর্ত রয়েছে।
কংগ্রেস স্বচ্ছতা বজায় রেখে এবার টিকিট প্রদান করতে চাইছে বিহার নির্বাচনে। যা দলের সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য হবে। বিহার কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ রাম এই কিউআর কোডটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই কিউআর কোড কংগ্রেসের স্ক্রিনিং কমিটি ও দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে একটা সেতুবন্ধের কাজ করবে।

কোডটি স্ক্যান করলে একটি ডিজিটাল আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। যেখানে আবেদনকারী তাঁর নাম, ফোন নম্বর ইত্যাদি দেবেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেস সদস্যপদের স্ট্যাটাস দিতে হবে তাঁকে। সেই সঙ্গে দিতে হবে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের ছবি। কম করে ৫টি ছবি দিতে হবে।
মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ দিতে হবে। যেমন তিনি জন আক্রোশ যাত্রায় অংশ নিয়েছেন কিনা। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় কতটা প্রভাব রয়েছে। এভাবে বিস্তারিত বায়োডাটা সহ আবেদনপত্র ডিজিটালি পূরণ করে সেটি প্রেরণ করতে হবে।
কংগ্রেস এরপর সেইসব আবেদনপত্র বিচার করে সঠিক প্রার্থী বেছে নেবে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই এই আধুনিক পদ্ধতি বলে দাবি করছে কংগ্রেস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা