নাটকীয়ভাবে শেষ মুহুর্তে রুখে দেওয়া গেল বিদেশের মাটিতে ভারতের প্রাচীন বিগ্রহ নিলাম
একেবারে নাটকীয় তৎপরতা। গোপনে খবর। তারপরই বিক্রির ঠিক আগে রুখে দেওয়া গেল ভারতের প্রাচীন এক অমূল্য বিগ্রহ নিলাম। তাও আবার বিদেশের মাটিতে।

২০১০ সালের অগাস্ট মাস। পুলিশের কাছে দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরের বিগ্রহ চুরির অভিযোগ আসে। বিগ্রহটি চুরি যায় তামিলনাড়ুর থিরুপুগালুর-এর বিখ্যাত আরুলমিগু অগ্নীশ্বরস্বামী মন্দির থেকে।
মন্দিরের বিগ্রহ চুরি যাওয়ার খবরে আলোড়ন পড়ে যায়। মন্দির কর্তৃপক্ষ পুলিশে সব জানায়। পুলিশ তদন্তেও নামে। কিন্তু বিগ্রহ উদ্ধার হয়নি।
তারপর কেটে গেছে ১৫ বছর। সম্প্রতি গোপন সূত্রে একটি খবর আসে তামিলনাড়ু পুলিশের আইডল উইং-এর কাছে। খবর আসে বিগ্রহটি রয়েছে নেদারল্যান্ডস-এ। আর তা নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা হচ্ছে।
সময় এতটুকু নষ্ট না করে আইডল উইং-এর আধিকারিকরা যোগাযোগ করেন এএসআই-এর সঙ্গে। ডাচ পুলিশ অথরিটিকেও বিষয়টি জানানো হয়। ভারতের তরফে এত দ্রুত খবরটি পাওয়ার পর পদক্ষেপ করা হয় এবং ডাচ প্রশাসনকে বিষয়টি সম্বন্ধে অবহিত করা হয় যেন নেদারল্যান্ডস-এর বিদেশ মন্ত্রক বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে।
সে দেশের ম্যাসট্রিচ শহরে হতে চলা নিলামে ওঠার আগেই মূর্তিটি বাজেয়াপ্ত করে নেদারল্যান্ডস পুলিশ। মূর্তিটি কানাপ্পা নায়নার-এর। যে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত ছিল আরুলমিগু অগ্নীশ্বরস্বামী মন্দিরে। ১৫ বছর ধরে বিগ্রহটির কোনও খোঁজ ছিলনা।
অবশেষে তার খোঁজ মিলল ইউরোপে। উদ্ধারও হল। এখন চলছে আইনি কাজ। যাতে তা ভারতে ফিরিয়ে আনা যায়। এই মূর্তি নিলাম হয়ে গেলে তা ভারতের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হত।
একেবারে শেষ মুহুর্তে গোপন খবরের ভিত্তিতে যে প্রবল তৎপরতা আইডল উইং দেখিয়ে সেটিকে উদ্ধার করল তার জন্য তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তামিলনাড়ু পুলিশের বড় কর্তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা