কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে লেপার্ড, প্রতীকী ছবি
একটা জায়গায় থাকতে থাকতে সেখানকার সঙ্গে মানিয়ে নেয় সকলেই। সবটাই চেনা। সকলেই পরিচিত। এই যে সময়ের সঙ্গে একটা জায়গার সঙ্গে আত্মিক যোগ তৈরি হওয়া এটা কিন্তু নেহাত সহজ কথা নয়।
তাই চেনা পাড়া ছেড়ে অন্যত্র যেতে হলে তা প্রাথমিকভাবে একটা অস্বস্তি তৈরি করে। যতই হোক, অচেনা জায়গা। সেখানে মানিয়ে নেওয়া, জায়গাকে ভাল করে চেনা, এগুলো একটা চ্যালেঞ্জ।
সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই প্রভাস আর পভক তাদের নতুন যাত্রা শুরুর পথে। তবে খুব যে দূরে চলে যাচ্ছে তা নয়। কার্যত পাশের পাড়াতেই নতুন ঠিকানা হচ্ছে তাদের।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে মধ্যপ্রদেশেরই গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যে পাঠানো হচ্ছে প্রভাস ও পভক নামে ২ পুরুষ চিতাকে। এখন ভারতের একমাত্র কুনোতেই রয়েছে চিতা। সেই চিতাদের অন্য অভয়ারণ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ্য।
সেই লক্ষ্যে এবার গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যে ২টি চিতাকে ছাড়ার সিদ্ধান্তটা স্বাভাবিক। তবে কুনোতে এতদিন কাটানোর পর হঠাৎ অন্য জায়গায় ২ জনের মানিয়ে নিতে প্রথমে কিছুটা অসুবিধা তো হবেই।
যদিও পরিবেশ বা আবহাওয়া খুব একটা বদলাচ্ছে না। কারণ ২টো জায়গাই মধ্যপ্রদেশে। এই ২টি চিতাকে গান্ধীসাগরে পাঠানোর পর কুনোতে এখন চিতার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২৪টি।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব জানিয়েছেন, তাঁরা আরও চিতা চম্বল এলাকায় ছড়িয়ে দিতে চান। যা এখানকার পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা