National

ফল নয় হাজার হাজার ঘড়ি ঝুলছে এই গাছে, এখনও বহু মানুষ হাজির হন ঘড়ি হাতে

এমনিতে একটি সাধারণ বটগাছ। কিন্তু এ বটবৃক্ষের সারা শরীর জুড়ে শুধুই ঘড়ি। এত ঘড়ি যে গাছের ডালপালা প্রায় দেখাই যায়না।

Published by
News Desk

একটি বটবৃক্ষের ডালপালা কম দেখতে পাওয়া যায়, ঘড়ি বেশি দেখতে পাওয়া যায়। দেখে মনে হবে ফল নয়, এ গাছে ঘড়ি হয়। ঘড়ি মানে সাধারণভাবে দেওয়াল ঘড়িই বেশি। হাতঘড়িও রয়েছে।

বিভিন্ন রকম দেখতে ঘড়ি ঝুলছে চারধারে। তার অনেকগুলি বেশ দামিও। মানুষ কিন্তু থেমে নেই। গাছে হাজার হাজার ঘড়ি ঝুলছে। তারপরেও একটু ফাঁক খুঁজে মানুষ ঘড়ি ঝুলিয়েই চলেছেন।

উজ্জয়িনীর এই বটবৃক্ষটি একটি মন্দিরের গায়ে। মন্দিরটিতে বছর চারেক আগে এক ভক্ত এসে দেবতাকে একটি হাতঘড়ি প্রণামী দিয়ে যান। সেখান থেকেই স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্বাস জন্ম নেয় যে এ মন্দিরের দেবতাকে ঘড়ি দিলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।

কথাটা ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। এরপর থেকেই মানুষ এ মন্দিরে এসে ঘড়ি দিয়ে যেতে থাকেন। মন্দিরটি ছোট। তাই মন্দিরের দেওয়াল ঘড়িতে ভরে যেতে সময় নেয়নি।

যখন ঘড়ি দেওয়ার জন্য মন্দিরে আর একটুও জায়গা পাওয়া গেলনা, তখন মন্দির লাগোয় এই বটবৃক্ষের ডালেই ঘড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে যাওয়া শুরু করেন ভক্তেরা। সেই বটবৃক্ষ এখন ঘড়ি গাছে রূপান্তরিত হয়েছে। ডালপালা প্রায় দেখাই যায়না। ঘড়িয়ে ঢাকা পড়েছে গাছ। তারপরেও ঘড়ি ঝুলিয়েই যাচ্ছেন ভক্তেরা।

‘সাগাস মহারাজ করোন্দিয়া সরকার মন্দির’ এখন অনেক বেশি পরিচিত ‘ঘড়ি ওয়ালে বাবা মন্দির’ নামে। এই ঘড়ির কারণে উজ্জয়িনী শহরের এই মন্দির ভক্তদের কাছে এক অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। বহু ভক্তই এখন ঘড়ি হাতে হাজির হন এ মন্দিরে বিগ্রহ দর্শন করতে এবং পুজো দিতে।

Share
Published by
News Desk