National

ক্রমশ মুখ ঢেকে যাচ্ছে নেকড়ার মত লোমে, অতি বিরল রোগের শিকার কিশোর ললিত

একে চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয় কোনও মানুষের ক্রমশ নেকড়েতে পরিণত হওয়ার লক্ষণ বা ওয়ারউলফ সিনড্রোম। এই অতি বিরল রোগে আক্রান্ত ভারতের ললিত পাতিদার।

Published by
News Desk

ছোট বয়স থেকেই ক্রমে এই সমস্যা নজর কাড়তে থাকে। ললিত পাতিদার আর পাঁচটা শিশুর মতই। কিন্তু মনের দিক থেকে সকলের মত হলেও চেহারার দিক থেকে সে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ সকলের থেকে আলাদা হতে শুরু করে। আর তার অন্যতম কারণ তার মুখে বাড়তে থাকা লোম।

সেগুলো যে দাড়ি বা গোঁফ নয়, তা বুঝতে সময় লাগেনি। ২টো চোখ আর ঠোঁট বাদ দিলে ললিতের পুরো মুখই ভরে যেতে থাকে লোমে। ক্রমে সেই লোম এতটাই বেড়ে যায় যে এখন কিশোর ললিতের প্রায় পুরো মুখই ঢাকা পড়ে গেছে লম্বা লম্বা সোনালি লোমে।

চিকিৎসাশাস্ত্রে একে বলা হয় হাইপারট্রাইকোসিস। এই রোগ এতটাই বিরল যে মধ্যযুগ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত মাত্র জনা ৫০ মানুষের মধ্যেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব নজর কেড়েছে। এটা একধরনের ডিসঅর্ডার। যাতে আক্রান্ত ভারতের ললিত।

তার মুখের ৯৫ শতাংশই এখন লম্বা লম্বা লোমে ঢাকা। এই রোগকে ওয়ারউলফ সিনড্রোমও বলা হয়। যার তর্জমা করলে দাঁড়ায় নেকড়ের মত চেহারা নিতে থাকা মানুষ।

এখন অবশ্য ললিত মানিয়ে নিয়েছে নিজের চেহারার সঙ্গে। তার পরিচিতরাও তার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মেশেন। এবার ললিত পাতিদার একটি রেকর্ডও করে ফেলল।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি লোম বা চুল যুক্ত মুখের মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে সে। যে স্বীকৃতি স্বহস্তে গ্রহণের জন্য তাকে ইতালির মিলানে যেতে হয়েছিল। প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে চুলের ঘনত্ব মেপে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

Share
Published by
News Desk