National

বিবাহ অনুষ্ঠানে হবু জামাইয়ের কীর্তি, খুশিতে চোখে জল পাত্রীপক্ষের

বিয়ে করতে বর এলেন। বরযাত্রী এল। পাত্রীপক্ষ আয়োজনে ত্রুটি করল না। এরপর বর যা করলেন তাতে পাত্রীপক্ষের সকলেই বরের কীর্তিতে গর্বিত।

Published by
News Desk

মেয়েকে সঠিক হাতে অর্পণ করছেন তো? পাত্রীর বাবা মা তো বটেই, এমনকি পরিবারেরও মনের কোণে একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। বিয়ের আগে আর বিয়ের পর তো বিস্তর ফারাক। জামাই যদি তাঁদের মেয়েকে সেই সম্মান মর্যাদা না দেন? এমন চিন্তাও মাথায় ঘোরে।

ভারতের নানা প্রান্তে বাবা মায়ের এই চিন্তা থেকে মুক্তি নেই। তবে একটি পরিবার বিয়ের রাতেই এই চিন্তা থেকে মুক্ত করতে পেরেছে নিজেদের। হবু বর যখন ঘোড়ায় চেপে কনের বাড়িতে হাজির হন তখনও কন্যাপক্ষ আর পাঁচটা বিয়ের মতই প্রথামত বর ও বরযাত্রীদের আপ্যায়নে ত্রুটি করেনি।

রাজস্থানি বিয়ে। তাই সেখানে তিলক একটি অন্যতম অধ্যায়। যেখানে বর কনের বাড়িতে আসার পর কন্যাপক্ষের তরফে উপহারের ঢল নামে। বর তা গ্রহণও করছিলেন। অবশেষে একটি থালায় লাল কাপড়ের ওপর সাজিয়ে আসে নগদ ৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা।

কনের বাড়ির পক্ষ থেকে উপঢৌকন। যা আদপে পণের নামান্তর। তখন তা গ্রহণ করে নেন হবু বর। তবে সেই বৈবাহিক আচার শেষ হওয়ার পরই তিনি তা ফিরিয়ে দেন কনের বাবার হাতে।

পালির বাসিন্দা পরমবীর রাঠোর বিয়ে করতে এসেছিলেন জয়সলমীরের কারালিয়া গ্রামে। পরমবীর জানান, তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছেন। তাঁর মত যাঁরা পড়াশোনা করেছেন তাঁরাও যদি সমাজের এই পণপ্রথা নামে খারাপ দিকটিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা না করেন তাহলে আর কে করবে। তাঁদেরই উদাহরণ তৈরি করতে হবে সমাজের সামনে।

পরমবীরের এই আচরণে কন্যাপক্ষের প্রত্যেকে আপ্লুত। অনেকের চোখ আনন্দাশ্রুতে ভরে আসে। বিয়ে করে নববধূ নিকিতা ভাটিকে নিয়ে নিজের বাড়ি পালিতে ফেরার পর সেখানেও তাঁর এই পণের টাকা ফরিয়ে দেওয়ার আচরণের প্রভূত প্রশংসা হয়।

পণপ্রথার মত একটি ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধিকে সমাজ থেকে সম্পূর্ণ মুছে দিতে ঘরে ঘরে এমন পরমবীরের প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে।

Share
Published by
News Desk