কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে পড়ুয়া, প্রতীকী ছবি
রাস্তায় যে যানজট রয়েছে সে খবর সে জানত। এদিকে পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ থেকে খুব বেশি হলে ২০ মিনিটের মধ্যে। সময়ে হলে পৌঁছতে হবে। পাহাড়ি পথে নামতে হবে। সে রয়েছে মহারাষ্ট্রের পঞ্চগনিতে। সেখানে পাহাড়ি পথে নামতে গেলে কিছুটা যানজটে পড়তে হবে।
ওয়াই পঞ্চগনি রুটে ভালই যানজট রয়েছে তখন। পাসারানি ঘাট সেকশনের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেসব কাটিয়ে নিচে নেমে পরীক্ষা হল পর্যন্ত পৌঁছতে ২০ মিনিটের অনেক বেশিই লাগবে।
ফলে পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। তা তো হতে দেওয়া যায়না। তাহলে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই পরীক্ষার হলে কীভাবে পৌঁছনো যাবে? রাস্তা বার করল ওই ছাত্রই।
পঞ্চগনিতে রয়েছে প্যারাগ্লাইডিং শেখানোর জায়গা। সেখান থেকে প্যারাগ্লাইডিং করে আকাশে ভেসে পড়ে সে। সঙ্গে নেয় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যাবতীয় যা লাগে সবকিছু। এরপর আকাশে ভেসে সে নামতে থাকে নিচে।
এভাবেই আকাশে ভাসতে ভাসতে সে নেমে আসে নিচে। একেবারে পরীক্ষা হলের কাছে। তারপর একদম সঠিক সময়ে পরীক্ষা হলে ঢুকে পরীক্ষা দিতে বসে।
এভাবেও যে যানজট এড়িয়ে সময়ের মধ্যে পাহাড়ের ওপর থেকে সমতলে পরীক্ষা হলে পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে তা এর আগে অন্য কোনও ছাত্র ভেবেছে কিনা সন্দেহ। মহারাষ্ট্রের কলেজ পড়ুয়া সমর্থ নামে ওই ছাত্র সেটাই করে দেখাল।