কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত চিত্রে ভারতীয় বিয়ে, প্রতীকী ছবি
কনের বাড়ি তৈরিই ছিল বরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য। রীতি প্রথায় কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। আয়োজনেও নয়। কনে তৈরি। কনের পরিবার ও অতিথিরাও তৈরি। এদিকে বরও সময়মতই এসে পৌঁছন কনের বাড়ির সামনে।
বাড়িতে প্রবেশের আগে বরের বন্ধুরা বরকে চেপে ধরেন তাঁদের সঙ্গে একটু নাচতে হবে। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া খলনায়ক সিনেমার বিখ্যাত গান চোলি কে পিছে বেজে ওঠে। তার সঙ্গে নেচে ওঠেন বরযাত্রীরা।
বন্ধুদের অনুরোধ ফেলতে না পেরে বরও একটু নেচে নেন ওই গানের তালে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু তারপরই ঘটে আসল ঘটনা। বরের এই নাচ দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন কনের বাবা।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন বরের এমন নিম্নরুচির নাচ দেখার পর তিনি তাঁর মেয়ের বিয়ে ওই পাত্রের সঙ্গে দেবেন না। বরের এই নাচ তাঁর পারিবারিক সম্মান নষ্ট করেছে।
তিনি এতটাই বেঁকে বসেন যে তাঁর পরিবার, বরের পরিবার এমনকি খোদ বরও অনেক চেষ্টা করে তাঁকে বোঝাতে পারেননি। নিজের জায়গায় অনড় কনের বাবা। অনেক চেষ্টাতেও তাঁকে বোঝাতে না পেরে অবশেষে বিয়ে আর হয়নি। বর ফিরে যান।
এদিকে কনে তো এসব দেখে কেঁদে ভাসালেন। কনের বাবা ওই পাত্রের ওপর এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে তিনি সাফ জানিয়ে দেন কোনও দিন যেন ওই যুবক বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁর পরিবারের কেউ যোগাযোগের চেষ্টা না করেন। কনেও না। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। এই ঘটনার পর অনেকেই সমাজ মাধ্যমে কনের পিতার এতটা অনড় মানসিকতার সমালোচনা করেছেন।