National

রাণা প্রতাপের রাজপ্রাসাদে ঝরল রাজপরিবারের রক্ত, বংশধররা ফেরাল মধ্যযুগের স্মৃতি

এ যেন সেই মধ্যযুগের আবহ। সেই রাজপরিবারের মধ্যে অন্তর্কলহ, হানাহানি। সবে হওয়া রাজার সঙ্গে রাজপরিবারের লড়াইয়ে ঝরল রাণা প্রতাপের বংশধরদের রক্ত।

Published by
News Desk

ভারতের ইতিহাসে রাণা প্রতাপ এমন এক নাম যিনি তাঁর বীরত্বের জন্য চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে চর্চিত হবেন। মেবারের মহারাণা প্রতাপের বংশধররা এখনও রয়েছেন। মেবারের রাজপরিবারও বহাল তবিয়তে রয়েছে তাদের রাজপ্রাসাদে।

সেই উদয়পুর সিটি প্যালেস এবার রাজপরিবারের রক্তে লাল হল। রাজপরিবারের সেই মধ্যযুগীয় হিংসা, অন্তর্কলহ, লড়াই, ষড়যন্ত্র যে আজও কীভাবে রয়ে গিয়েছে তার উদাহরণ হয়ে রইল সোমবার রাতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।

মহেন্দ্র সিং মেবারের জীবনাবসানের পর সবে রাজা হয়েছেন বিশ্বরাজ সিং। তাঁর রাজ্যাভিষেক হয় ধুমধাম করে। মেবার রাজবংশের নিয়ম হল রাজ্যাভিষেক পর্ব মেটার পর নতুন রাজাকে উদয়পুর সিটি প্যালেসে গিয়ে ‘ধুনি দর্শন’ করতে হয়। এটাই মেবার রাজপরিবারের চিরকালীন রীতি।

রাজস্থানের নাথওয়াড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বরাজ সিং মেবার রাজপরিবারের প্রথা মেনে রাজা হওয়ার পর উদয়পুর সিটি প্যালেসে ঢুকতে গেলে বাধা পান। রাজপ্রাসাদের একটি অংশে যেখানে ধুনি দর্শনের জন্য যেতে হয় সেখানে প্রবেশ করতে তাঁকে বাধা দেন তাঁরই কাকা মেবার রাজপরিবারের সদস্য অরবিন্দ সিং মেবার ও তাঁর পরিবার।

এই নিয়ে ২ পক্ষ কার্যত মুখোমুখি হয়ে যায় সোমবার রাতে। অরবিন্দ সিং মেবার সাফ জানিয়ে দেন তিনি বা তাঁর পরিবার বিশ্বরাজ সিংকে ধুনি দর্শনে যেতে দেবেন না। বিশ্বরাজও প্রাচীন পারিবারিক রীতি পালনে বদ্ধপরিকর।

ফলে ২ পক্ষে শুরু হয় সংঘর্ষ। উদয়পুর সিটি প্যালেসের মাটি মেবার রাজপরিবারের রক্তে ফের লাল হল এই ২০২৪ সালে পৌঁছে। এই ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজপ্রাসাদের যে অংশ ঘিরে যাবতীয় বিবাদ সেই অংশকে ঘিরে কারও প্রবেশ নিষেধ করেছে পুলিশ। এই পুরো ঘটনায় মহারাণা প্রতাপ ও মেবার রাজপরিবারের সম্মানহানি বলেই মনে করছেন অনেকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk