আগুন, প্রতীকী ছবি
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। বছর ২৫-এর এক যুবককে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। যুবক ছোট থেকেই একটি অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর একটি শেল্টার হোম থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।
সেখানে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন হাসপাতালে আসার আগেই জীবন শেষ হয়েছে ওই যুবকের। অগত্যা পুলিশে খবর যায়। দেহ রেখে দেওয়া হয় মর্গে। পুলিশ এসে যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ করার পর বিকেলে যুবকের দেহ সৎকারের জন্য দেওয়া হয়।
তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় শ্মশানে। সেখানে চিতা সাজানো হয়। তার ওপর শোয়ানো হয় দেহ। যাবতীয় অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়া, ধর্মীয় রীতি পালনের পর চিতায় আগুনটা ধরানো হবে। ঠিক তার আগেই একটা দৃশ্য দেখে আঁচতে উঠলেন সকলে।
সবাই দেখলেন দেহ চিতায় শুয়ে নড়ছে। বেশ কয়েকজন তো ভয়ে দৌড় লাগালেন। সকলেই আতঙ্কিত। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া হয়। যুবককে চিতা থেকে তুলে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।
সেখানে তাঁকে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায়। সেখানকার সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল ভগবান দাস খৈতান হাসপাতাল। সেখানেই ওই যুবকের জীবন শেষ হয়েছে বলে যে ৩ চিকিৎসক নিশ্চিত করেছিলেন তাঁদের সাসপেন্ড করে দেন জেলাশাসক। শুরু হয় তদন্তও।
এদিকে চিতায় দেহ নড়ার পর রোহিতাস নামে ওই যুবককে জয়পুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও শুক্রবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি সরকারি স্তরে হইচই ফেলে দিয়েছে। একজনের দেহে জীবনের স্পন্দন থাকা সত্ত্বেও তাঁর চিকিৎসা না করে তাঁর জীবন শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করে দেহ মর্গে পাঠিয়ে, শ্মশানে পৌঁছে দেওয়ার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে রাজস্থানের সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার ভিত্তি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা