National

জলের তলায় মাছেরা কি করছে, কোথায় রয়েছে মাছের ঝাঁক, মাছ ধরায় খুলল দিগন্ত

জলের ওপর থেকে মাছ ধরার সময় অনেক কিছুই জানতে পারেননা মৎস্যজীবীরা। এখন সব জানতে পারবেন। কীভাবে তা জানালেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Published by
News Desk

ভারতে মাছের চাহিদা রয়েছে। মাছের চাহিদা রয়েছে বিদেশেও। সমুদ্রে মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অনেক মৎস্যজীবী। তাঁরা দিনের পর দিন সমুদ্রে পড়ে থেকে মাছ ধরে আনছেন। কিন্তু জলের ওপর থেকে তো তলায় মাছেরা কি করছে, কেমন তাদের আচরণ, উত্তেজিত না শান্তিতে ঘুরছে, কোথায় মাছের ঝাঁক রয়েছে, এসব জানা মুশকিল হয়।

মৎস্যজীবীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা দিয়ে যতটুকু বুঝতে পারেন। এবার আর তার দরকার পড়বে না। এসবই জানান দেবে একটি যন্ত্র। একটি ড্রোন। ড্রোন বললেই মানুষের চোখের সামনে এখন আকাশে উড়তে থাকা যন্ত্র ভেসে ওঠে। কিন্তু ড্রোন জলের তলাতেও ঘুরে বেড়ায়।

তেমন ড্রোনও রয়েছে। এই জলের তলার ড্রোন জলের তলায় ঘুরে বেড়িয়ে মৎস্যজীবীদের মাছদের সম্বন্ধে নানা তথ্য দিতে থাকবে। এতে তাঁরা সহজে মাছ পর্যন্ত পৌঁছে জাল ফেলে তাদের ধরে উঠতে পারবেন। মাছ ধরার সময় বাঁচবে। সহজ হবে মাছ ধরা।

আবার মাছের উৎপাদনও বাড়বে। অনেক সময় মাছেরা নানা কারণে উত্তেজিত হয়ে এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায়। তাও জানান দেবে এই ড্রোন। কেন্দ্রীয় মৎস্য প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়েন এই ড্রোনের সুবিধার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।

যেহেতু ঠিক তখনই কি হচ্ছে জলের তলায়, মাছেরা কি করছে তা সঙ্গে সঙ্গেই জানাবে এই যন্ত্র ফলে মৎস্যজীবীদের পক্ষে যথাস্থানে পৌঁছে মাছ ধরতে সুবিধাই হবে। তাঁদের জলের এদিক ওদিক ঘুরতে হবেনা মাছের খোঁজে।

এই জলের তলায় ঘুরে বেড়ানো ড্রোন ভারতীয় মৎস্য চাষে দিগন্ত আনতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই উদ্যোগ আগামী দিনে যদি কম সময়ে মাছ ধরা বাড়াতে পারে তাহলে তা সাধারণ মানুষের জীবনেও একটা খুশি ডেকে আনতে পারে।

বেশি মাছ বাজারে এলে তার দাম কিছুটা কম হওয়াটাই স্বাভাবিক। এতে যাঁরা মাছ খান তাঁরা অপেক্ষাকৃত কম দামে মাছ পাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk