National

সর্বগ্রাসী জোড়া তাণ্ডব, উত্তরে ভাঙল মেঘ, দক্ষিণে পাহাড় ভাঙা ধস

এমন দৃশ্য কখনওই কাঙ্ক্ষিত ছিলনা। দেশের ২টি বিপরীত প্রান্তে কিন্তু সেই দৃশ্যই দেখতে হল। উত্তরে মেঘ ভাঙল। দক্ষিণে ভাঙল পাহাড়। নামল ধস। নিয়ে গেল বহু প্রাণ।

Published by
News Desk

প্রথমে দেশের দক্ষিণভাগের দিকেই নজর দেওয়া যাক। রাহুল গান্ধীর কেন্দ্র হিসাবে কেরালার ওয়ানাড এখন ভারতীয়দের বেশ চেনা জায়গা। সেখানেই মঙ্গলবার ধস নামে। বর্ষায় ধস নতুন কিছু নয়। পাহাড়ের মাটি আলগা হয়ে ধস নেমে আসে।

ওয়ানাডে অবশ্য যে ধস নেমেছে তা স্থানীয়দের কাছে দুঃস্বপ্নের মত। ইতিমধ্যেই অর্ধশত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই ধসের তাণ্ডব। চুরালপাড়া এলাকায় ধসটি নামে রাত ২টোয়। ধসের ব্যাপকতা এতটাই ছিল যে বিস্তীর্ণ এলাকা চাপা পড়ে যায়। ৪০০ মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যান।

এদিকে আবহাওয়া এতটাই প্রতিকূল যে এনডিআরএফ-এর পক্ষে উদ্ধারকাজ চালানোই দুষ্কর হয়ে পড়ছে। কতজন যে ধসের তলায় চাপা পড়ে আছেন তা এখনও পরিস্কার নয়।

অন্তত ১০ জনের মত মানুষের দেহ চালিয়ার নদীতে ভাসতেও দেখা যায়। উদ্ধারকাজে বায়ুসেনার সাহায্য নিয়েছে কেরালা সরকার।

ওয়ানাডে যখন এমন এক ভয়ংকর পরিস্থিতি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। সেখানে উত্তরের হিমাচল প্রদেশের পার্বতী উপত্যকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ট্রেকিং পয়েন্ট তোশ-এ ধ্বংসলীলা চালিয়েছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি।

আচমকাই মঙ্গলবার রাত ৩টে নাগাদ মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে খুব দ্রুত এলাকা জুড়ে হড়পা বান শুরু হয়ে যায়। যার জেরে প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতি হতে থাকে। ভেসে যায় অনেক কিছু।

দোকানপাট, বাড়ি পর্যন্ত ভেসে গেছে জলের তোড়ে। একটি ব্রিজেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তোশ বৌদ্ধ গুম্ফার জন্য বিখ্যাত। এখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে।

সেখানে এমন এক পরিস্থিতিতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি কারও জীবন কেড়ে নিতে পারেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk