National

শহরের রাস্তায় কুমিরের দাপাদাপি, ভয়ে গৃহবন্দি বাসিন্দারা

প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি অনেকেই। কিন্তু যখন বুঝলেন যা দেখছেন তা সত্যই তখন আর পালানোর জন্য বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেননি।

Published by
News Desk

ব্যস্ত শহরে বৃষ্টি হয়েছে ঝমঝমিয়ে। ফলে রাস্তায় কোথাও কোথাও জমেছে জল। বাকি রাস্তা ভিজে একসা। একে রবিবার, তার ওপর রাত হয়ে আসায় রাস্তায় মানুষের তেমন দেখা নেই। আছে বলতে কিছু গাড়ি। সেই গাড়িরই কয়েকটা একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে।

গাড়ির মধ্যে থাকা মানুষজন আগে বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা যা দেখছেন তা সত্যিই কিনা। কারণ শহরের মাঝে রাজপথে তাকে দেখতে পাওয়া কি আদৌ সম্ভব!

সেই বিহ্বলতা কাটিয়ে যখন তাঁরা নিশ্চিত হন যে যা দেখছেন তা একদম সঠিক। রাস্তায় তাঁদের সামনেই রয়েছে একটি কুমির। তাও ছোটখাটো নয়। ৮ ফুটের ওপর লম্বা অতিকায় চেহারার কুমির।

তার পায়ে ভর করে সে শরীরটাকে রাস্তা থেকে কিছুটা উপরে রেখেছে। নেহাতই যে অসন্তুষ্ট তা তার হাঁ মুখ দেখলেই পরিস্কার। যেন সামনে পড়লেই তার চোয়ালের সব জোড়টুকু কাজে লাগিয়ে কামড়ে ধরবে।

গাড়ির মধ্যে থেকে ছবি তোলেন অনেকে। তারপর আর সময় নষ্ট না করে কুমির তেড়ে আসার আগেই চম্পট দেন। রেহাই কেবল একটাই। রাতের শহরে পায়ে হেঁটে কেউ সে সময় যাচ্ছিলেন না।

গেলে তাঁর সঙ্গে কি হত তা বলা মুশকিল। এদিকে রাস্তায় কুমির ঘুরছে জানতে পেরে অনেকেই আর বাড়ি থেকে বার হননি। আতঙ্কে নিজেদের গৃহবন্দি করে ফেলেন।

ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই শহর থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরে রত্নগিরি জেলার অন্যতম শহর চিপলুন-এ। চিপলুন রত্নগিরির প্রধান বাণিজ্য শহর। সেখানে রাজপথে কুমির কীভাবে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, কাছের শিব নদীতে অনেক কুমির আছে। সেখান থেকেই শহরে ঢুকে থাকতে পারে এই কুমিরটি। কিন্তু কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, শুকনো জায়গার খোঁজ করতেই সে শহরে প্রবেশ করে। রাস্তায় তাকে দেখা গেলেও রাতের মধ্যেই সে শহর থেকে বেরিয়েও যায়। ফলে কারও কোনও ক্ষতি করতে পারেনি কুমিরটি।

Share
Published by
News Desk