National

১৭৮ বছর পরও উপচে পড়ে ভিড়, মাছ প্রসাদ পেতে সকাল থেকেই লম্বা লাইন

১৭৮ বছর পার হয়ে গেছে। তারপরও তার টান এতটুকু কমল না। কোনও চিকিৎসকের কাছে নয়, মাছ প্রসাদ পেতে এই গরমেও উপচে পড়ছে সাধারণ মানুষের ভিড়।

Published by
News Desk

১৭৮ বছর পার করে গেছে। তারপরও এই প্রসাদ পাওয়ার উৎসাহে খামতি নেই। বরং উৎসাহ আরও বেড়েছে। ২ দিন ধরে টানা চলবে এই বিশেষ ভেষজ বিতরণ। শনি ও রবিবার ২ দিন টানা চললেও মানুষের ভিড় কমে না। বাথিনি পরিবারের এই পারিবারিক রীতি চলে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।

স্থানীয় বলে নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ হাজির হন এখানে। যেমনটা শনিবার সকাল থেকেই নজর কেড়েছে। বাথিনি মৃগশিরা ট্রাস্ট এই উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে।

এই ভেষজ মিশ্রণটি হাঁপানিতে কষ্ট পাওয়া মানুষজনের জন্য অব্যর্থ বলে মনে করা হয়। হাঁপানিতে ভোগা হাজার হাজার মানুষ এখানে তাই হাজির হন যন্ত্রণা মুক্তির পথ পেতে।

এখানে একে মাছ প্রসাদ বলা হলেও তা আসলে একটি ভেষজ মিশ্রণ। যার ফর্মুলা কেবল ওই পরিবারের কাছেই আছে। এই ভেষজ কারও হাতে দেওয়া হয়না। লাইন করে আসেন সকলে। তাঁর মুখে ফেলে দেওয়া হয় এই মিশ্রণ।

তারপর আর ১ বছর কিছু খাওয়ার প্রয়োজন নেই। পরের বছর তাঁকে ফের আসতে হবে। এমন করে ৩ বছর এলেই যথেষ্ট। মানে ৩ বার এই মাছ প্রসাদ মুখে নিলেই আর হাঁপানির সমস্যা থাকবেনা, এমনই দাবি ওই বাথিনি পরিবারের। সেই বিশ্বাসে আজও হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন এখানে।

শনি ও রবিবার হায়দরাবাদের নামপল্লিতে তাই তিল ধারণের জায়গা থাকবেনা। শনিবার সকাল থেকেই ভিড় সামাল দেওয়া দায় হয়েছে। কথিত আছে, এক সাধু পরিবারের এক পূর্বপুরুষকে এই ভেষজের ফর্মুলা দিয়ে যান।

শর্ত ছিল একটাই। এই মিশ্রণ খাওয়ানোর জন্য কারও কাছ থেকে কানাকড়ি অর্থও নেওয়া যাবেনা। পুরোটাই বিনামূল্যে দিতে হবে। যা আজও অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে বাথিনি পরিবারের প্রতিটি প্রজন্ম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk