পরীক্ষা, প্রতীকী ছবি
পরীক্ষার খাতায় এর আগেও নানা কিছু লেখা, অনেক অনুনয়, বিনয়, এমনকি টাকা রেখে দেওয়ার মত ঘটনা নজরে পড়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এখন বোর্ডের পরীক্ষা চলছে। খাতা দেখার কাজও চলছে। সেখানেই এমন এক খাতা এক শিক্ষকের হাতে এসেছে যা গোটা দেশকে অবাক করেছে।
তিনি বিষয়টি সামনে আনার পর জানা যায় এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ইংরাজি পরীক্ষার খাতায় আজব আবেদন জানিয়েছে। উত্তরপত্রে উত্তর নেই।
সে জায়গায় খাতা খুলে ওই শিক্ষক দেখেন সেখানে একটি আর্জি রয়েছে। যাতে লেখা আছে শিক্ষক যেন ওই ছাত্রীকে পাশটা করিয়ে দেন। নাহলে তার বাড়ি থেকে তাকে আর পড়তে দেবেনা। বিয়ে দিয়ে দেবে।
বিয়ে আটকাতে পরীক্ষার খাতায় উত্তর না লিখে এমন আর্জিতে অবাক হয়ে যান শিক্ষক। বিষয়টি তিনি সকলকে জানান। সামনে আসে এই আবেদন। যা দ্রুত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে।
শিক্ষকদের কাজ পরীক্ষার্থীর খাতায় লেখা উত্তর পরীক্ষা করে তার প্রাপ্য নম্বর তাকে দেওয়া। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীদের আগামী জীবনের এক অন্যতম সোপান।
সেখানে উত্তর না লিখে এমন আবেদন যে শিক্ষকদের টলাতে পারেনা তা যেমন সত্যি, তেমনই এমন সব নানাপ্রকার আর্জি জানিয়ে উত্তরপত্রও শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে নানা প্রাপ্ত থেকে এমন উত্তরপত্র ছাত্র বা ছাত্রীদের তরফ থেকে শিক্ষকদের হাতে এসে পড়েই চলেছে।