হিমাচল প্রদেশের কল্পা, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
১২৩ বছরে এ ঘটনা মাত্র ৩ বারই ঘটেছে। একবার ১৯৬৬ সালে। তারপর ২০০৪ সালে। তারপর ২০০৭ সালে। এরপর এই ২০২৪ সালে এসে এমন অবস্থার শিকার হলেন দেবভূমির রাজ্যবাসী। ফলে তাঁদের চিন্তার ভাঁজ পুরু হয়েছে। এবার শীতকাল জুড়ে জম্মু কাশ্মীরে এতটুকু তুষারপাত হয়নি। বরং এখন এই ফেব্রুয়ারিতে এসে কিছুটা তুষারপাতের মুখ দেখছেন কাশ্মীরবাসী।
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার শিকার হয়েছে কাশ্মীর লাগোয়া রাজ্য হিমাচল প্রদেশও। দেবভূমি নামে বিখ্যাত হিমাচলে জানুয়ারি মাসে মোট বৃষ্টিপাত নেহাত কম হয়না। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮৫ মিলিমিটার।
সেটাই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হয়েছে ৬.৮ মিলিমিটার। এত কম বৃষ্টি এর আগে ওই ১৯৬৬, ২০০৪ এবং ২০০৭ সালেই দেখেছে এই রাজ্য। তাছাড়া স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতই হয়েছে এখানে। যা এখানকার বাস্তুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়।
এবার হিমাচলে তুষারপাত খুব কম হয়েছে। এবার বৃষ্টিপাতও জানুয়ারিতে কম হওয়ার রেকর্ড গড়ল। সিমলায় জানুয়ারি মাসে বৃষ্টিই হয়নি।
হিমাচলে এবার জানুয়ারিতে যদি কিছুটা বৃষ্টি কোথাও হয়ে থাকে তবে তা হয়েছে চাম্বা জেলায়। এছাড়া জানুয়ারিটা শুকনোই কাটিয়েছে বাকি হিমাচল। যা কিন্তু আদপে এখানকার বাসিন্দাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টিপাতের ঘাটতির পরিমাণ ৯২ শতাংশ। বরং গত ৩১ জানুয়ারি হিমাচলের উদয়পুর, কেলং, লাহুল স্পিতি, কোথি, সাঙ্গলা এবং খাদরালায় খুব ভাল পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা