National

চোখে জল এনে দেওয়া ঘটনা, ইশারায় কথা বলা রপ্ত করছেন চিকিৎসকেরা

চিকিৎসকেরা রোগীদের চিকিৎসা করেন। তাঁদের চিকিৎসাশাস্ত্রটি রপ্ত। কিন্তু ইশারায় কথা বলাও এবার রপ্ত করছেন তাঁরা। পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ।

Published by
News Desk

চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করার পর একজন চিকিৎসক রোগীর সেবায় ব্রতী হন। তাঁর কাজ মানুষকে রোগমুক্ত করা। রোগীর আত্মীয়পরিজনকে রোগীর রোগ ও তার প্রতিকার সম্বন্ধে অবহিত করা। সেখানে চিকিৎসকদের কেন এখন ইশারায় কথা বলা শিখতে হচ্ছে? শিখতে হচ্ছে কারণ তার পিছনে একটি ঘটনা রয়েছে।

হায়দরাবাদের বেসরকারি কেআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসকেরা একটা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। সেখানে যমজ শিশুর জন্মের পর একটি শিশুর মৃত্যু হয়। কন্যা সন্তানটি বাঁচলেও মাত্র ৫৪০ গ্রাম ওজনের শিশুটিকে বাঁচানো একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।

৮০ দিন ধরে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করে নিওনেটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা হয় শিশুটির। এদিকে শিশুর বাবামা মূক ও বধির। তাঁরা সন্তান কেমন আছে তা জানতে উদ্বিগ্ন।

তাঁদের পরিবারের লোকজনকে দিয়ে তাঁদের যাবতীয় খবর দেওয়ার চেষ্টা করছিল হাসপাতাল। কিন্তু সময় সময় সকলকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে সে সময় চিকিৎসক বা নার্সদের পক্ষে ওই মূক ও বধির পিতামাতার প্রশ্ন বোঝা বা তার উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।

এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসক ও নার্সদের ১০ দিনের একটি কোর্স করানো হয়েছে। মূক ও বধির রোগীদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানোর প্রশিক্ষণ তাঁদের দেওয়া হয়েছে। যাতে মূক ও বধির রোগীদের সঙ্গে বিশেষ সাংকেতিক ভাষায় কথাবার্তা চালাতে পারেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

এই উদ্যোগ কার্যত পথ দেখাল বাকি হাসপাতালগুলিকে। কারণ হাসপাতালে মূক ও বধির রোগী আসতেই পারেন। তাঁদের সঙ্গে কথাবলার জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের এই সাংকেতিক ভাষা জানা অবশ্যই জরুরি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk