ভারতীয় বিয়ে, প্রতীকী ছবি
তিনি পশ্চিমবঙ্গে পোস্টেড। তবে তিনি এ রাজ্যের বাসিন্দা নন। বাসিন্দা কানপুরের ঝিনঝাক শহরের। তিনিই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। কানপুর দেহাতের পুলিশকে তিনি জানান তিনি বিয়ে করতে চান। বিয়ে করতে চান পছন্দের মেয়েকেই। পুলিশ যেন সেই ব্যবস্থা করে দেয়।
পুলিশ তাঁর ডাকে সাড়াও দেয়। ওই ব্যক্তি ও কনেকে নিয়ে আসা হয় থানায়। তারপর থানার মধ্যেই যে মন্দির রয়েছে সেখানে তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় এই বিয়ে দেওয়ায় কোনও সমস্যাও পুলিশের হয়নি।
কিন্তু কেন পুলিশ ডেকে থানায় বিয়ে? ল্যান্স নায়েক পবন পাল গত ৩ বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত। তাঁরা ২ জনই ২ জনকে পছন্দ করতেন। বিয়ে করতে চাইতেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের এই বিয়েতে ঘোর আপত্তি ছিল। ফলে বিয়েতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পবন পাল পুলিশের দ্বারস্থ হন।
২ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ বিয়ে করতে চান, এটা আইনত অপরাধ নয়। তাই সে বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেও সমস্যা হয়নি পুলিশের।
পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে ২ জনের পরিবারের লোকজনকে থানায় ডেকে পাঠায়। তারপর তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে তাঁরা যেন বিয়েটা মেনে নেন। কারণ ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক চাইলে নিজেরাও বিয়ে করে নিতে পারেন।
পুলিশের মধ্যস্থতায় ২ পরিবার অবশেষে নিমরাজি হয়েও মেনে নেয় এই বিয়ে। তারপরই মঙ্গলপুর থানার মধ্যেই যে শিবমন্দির রয়েছে, সেখানে বিয়ের আয়োজন করে পুলিশ। বিয়ে দেওয়া হয় ২ জনের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা