গ্রীষ্মকাল, প্রতীকী ছবি
বিদ্যুতের খরচ বাড়ছে। বেসরকারি সংস্থাগুলি দাম বাড়াচ্ছে। সেই অতিরিক্ত অর্থভার সরকার নিজের কাঁধে রাখবে না। তা গ্রাহকদের ঘাড়েই ফেলবে। সে টাকা গ্রাহকদেরই মেটাতে হবে। ফলে ইলেকট্রিক বিল মেটানোর খরচ বাড়বে।
তাই অসহ্য গরম থেকে রেহাই পেতে সবসময় ফ্যান ব্যবহার না করে সাধারণ মানুষের উচিত গাছতলায় গিয়ে বসা। গরম থেকে বাঁচাও হবে, খরচও হবেনা।
এমন এক উপদেশ দিয়েছিলেন অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী। রাজ্যবাসীকে গাছতলায় বসার পরামর্শ দিয়ে এমনিতেই তিনি বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন। এবার রাজ্যবাসীর সামনে ভাবমূর্তির প্রশ্নে আরও কিছুটা কোণঠাসা হতে হল দৈমারীকে। এমনই একটি বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে।
স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী সরকারের তরফ থেকে যে বাড়ি পেয়েছেন থাকার জন্য, সেখানে ২২টি ঘরে বসানো রয়েছে এসি মেশিন। এই বিষয়টি সামনে এসেছে।
নিজের প্রয়োজনীয় ঘর তো বটেই, এমনকি তাঁর সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ঘরগুলিতেও এসি মেশিন লাগানো রয়েছে। যাঁর নিজের বাড়িতে ২২টি এসি মেশিন চলছে, তিনি রাজ্যের মানুষকে এভাবে গরম থেকে বাঁচতে গাছ তলায় বসার পরামর্শ দিচ্ছেন কীভাবে?
এই প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধীদলগুলি অসমে সুর চড়িয়েছে। যা কার্যত ক্ষমতাসীন বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
যদিও বিশ্বজিৎ দৈমারী সাফ জানিয়েছেন, তিনি কোনও ভুল কথা বলেননি। তাঁর বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন রাজ্যবাসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা