বিয়ের পিঁড়িতে উদ্ধার হওয়া কিশোরী, ছবি - আইএএনএস
কোচবিহারের বাসিন্দা ১৭ বছরের মেয়েটি। তাকে তার নিজের পরিবারের লোকজনই যে মিথ্যা বলতে পারে তা সে কল্পনাও করতে পারেনি। তাই অন্ধের মত পরিবারের সকলের কথা বিশ্বাস করেছিল। মেনেছিল তাঁরা যা বলছেন।
সে বিয়ে করতে চায়নি। তাই পরিবার তাকে বুঝিয়েছিল বিয়ে তাকে করতেও হবেনা। কেবল বাগদান হবে। তারপর তার যদি ইচ্ছা হয় বিয়ে করবে জয়পুরের বাসিন্দা ৩৩ বছরের যুবককে। নয়তো করবে না। রাজি হয় কিশোরী। কিন্তু জানতেও পারেনি তাকে নিয়ে কি ঘটে গেল।
বাগদানের নামে আদপে তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় ওই ৩৩ বছরের যুবকের সঙ্গে। তারপর তাকে নিয়ে ওই যুবক জয়পুরে চলে যায়। সেখানে তার বাড়িতে প্রতিদিন রাতে ওই যুবক তার সঙ্গে শারীরিকভাবে যা করত তা ভেবে এখনও শিউরে উঠছে ওই কিশোরী।
সকালে আবার ওই পরিবারের লোকজন তাকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করিয়ে নিত। এমন করে ৩ দিন সকালে হাড়ভাঙা খাটুনি আর রাতে ওই যুবকের জোর করে দৈহিক মিলন।
আর সহ্য করতে না পেরে ৩ দিন পর সে সকলের চোখ এড়িয়ে রাতের দিকে বাড়িটি থেকে পালায়। কিন্তু অচেনা শহরের কিছুই তার চেনা নয়। তাই একটি পার্ক দেখতে পেয়ে সেখানেই সারারাত কাটায়।
সকালে একটু খোঁজ করে কাছের একটি শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছয়। সেখানেই সে সব সাহায্য পায়। অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ের বিরুদ্ধে যে লড়াই নোবেল পদকপ্রাপ্ত কৈলাস সত্যার্থী শুরু করেছেন সেই সংস্থার সাহায্য পেয়েছে ওই কিশোরী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা