স্কুলে পঠনপাঠন, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @World Bank Photo Collection
স্কুলের কোনও একটি ক্লাসে দিব্যি পড়তে পড়তে আচমকা স্কুল ছেড়ে দেওয়া। পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া। অন্য কাজে যুক্ত হয়ে পড়া। পরিবারের আর্থিক ক্ষমতা না থাকার জন্য পড়া ছাড়া।
এভাবেই ভারতের নানা প্রান্তে স্কুল ছুটের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। অনেক পড়ুয়ার পড়াশোনাই স্কুলের গণ্ডি পারের আগেই শেষ হয়ে যায়। কোন ছাত্র বা ছাত্রীর স্কুল ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা শিক্ষকদের পক্ষে সবসময় নজর দেওয়া সম্ভব হয়না।
এজন্য দরকার একটি পদ্ধতি। যা দিয়ে এটা আগাম বোঝা যেতে পারে। এবার সেই পদ্ধতিই বিদেশ থেকে জেনে এল কয়েকজন শিক্ষকের একটি দল।
এই শিক্ষকরা উত্তরপ্রদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস-এ হাজির হয়েছিলেন স্কুল ছুট হওয়ার দিকে এগোচ্ছে এমন ছাত্রছাত্রী সম্বন্ধে আগাম জানার কৌশল রপ্ত করতে।
উত্তরপ্রদেশে অবশ্য আগেই স্কুল ছুট রুখতে কারা কারা স্কুলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে সেদিকে নজর রাখার পদ্ধতি শুরু হয়েছিল। এবার এই নেদারল্যান্ডসের বিশেষ মডেল বিষয়টিকে সহজ করে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
কারণ নেদারল্যান্ডস এমন এক জায়গা যেখানে কোনও ছাত্রছাত্রী স্কুলে পড়তে পড়তে পড়া ছেড়ে দেবে এমনটা হয়না। একজনকেও পড়া ছাড়তে দেয়না সেখানকার প্রশাসন।
কেউ লেখাপড়া ছাড়ার কথা ভাবছে কিনা তাও তারা এক বিশেষ পদ্ধতি মেনে তৈরি মডেল মারফত জেনে যায়। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয় যাতে সে পড়া না ছাড়ে। উত্তরপ্রদেশেও এবার সেই নতুন মডেল চালু হচ্ছে দ্রুত স্কুল ছুট হতে পারে এমন ছাত্রছাত্রী চিহ্নিত করতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা