National

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি শুরু, মানুষকে সরানোর প্রস্তুতি প্রশাসনের

মে মাস মানেই বঙ্গোপসাগরে একটি করে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানির আশঙ্কা। সেই আশঙ্কায় এবার ঘৃতাহুতি দিয়েছে আবহাওয়া দফতরের পর্যবেক্ষণ। প্রস্তুতি শুরু।

Published by
News Desk

মে মাস মানেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। এ যেন একটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রীষ্মকালীন ঝড় এখন পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, লাগোয়া ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের কাছেও এক আতঙ্ক হয়ে উঠেছে।

মে মাস মানেই যেন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। ২০১৯ সালে ‘ফণী’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় তছনছ করে দিয়েছিল ওড়িশা। ২০২০ সালে করোনার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল ‘আম্ফান’। তার পরের বছর ছুটে এল ‘যশ’। আছড়ে পড়ল পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার ওপর।

২০২২ সালে বড় কিছু না হলেও ঝড়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এবার ২০২৩ সালে ফের ঝড়ের জন্য তৈরি হচ্ছে প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণি তৈরি হয়েছে। যা ঝড়ের আকার নিতে পারে।

দ্রুত তা নিম্নচাপের আকার নেবে। তারপর তা ক্রমশ শক্তি বাড়াতে পারে। তা যে কোন দিকে এসে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তা বলার সময় এখনও আসেনি।

তবে ফণী-র ভয়ংকরতার জেরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ইতিমধ্যেই সরকারি আধিকারিকদের তৈরি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

যদি ঝড় তৈরি হয়ে তা ওড়িশার দিকে ধেয়ে আসে তবে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিলে মানুষকে রক্ষা করা সহজ হবে বলে মনে করছেন নবীন পট্টনায়েক।

সমুদ্রের ধারে যাঁরা বাস করেন তাঁদের সরানোর জন্য তৈরি থাকার পাশাপাশি এনডিআরএফ এবং ওডিআরএএফ-কে তৈরি থাকতেও বলেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এখনও কোনও প্রস্তুতি শুরু হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk