যুগল, প্রতীকী ছবি
আসলে বুটিকের ব্যবসা ছিল পেশা। কিন্তু মানুষের কাছে তারা নিজেদের ইনভার্টার ব্যাটারি এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিত। এভাবে তারা আলাপ জমাত সকলের সঙ্গে। এরপর কথায় কথায় সেই মানুষজনকে তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে বলত।
প্রাথমিকভাবে তারা অল্প টাকা বিনিয়োগ করতে বলত। এটাও জানাত যে বিনিয়োগের ওপর মাসে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ সুদ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। কথাও রাখত। মোটা টাকা মাস গেলে হাতে পেয়ে মানুষের মনে বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করত।
এবার ওই স্বামীস্ত্রীর অফার হত আরও কিছু ঢালুন। যত বেশি বিনিয়োগ তত বেশি মুনাফা। এই প্রলোভনে সাড়াও দিয়েছেন বেশ কয়েকজন।
প্রথমদিকে বিনিয়োগকারীরা প্রতিশ্রুতি মত মোটা অঙ্কের সুদ পেলেও এক সময় তা বন্ধ হয়ে যেত। তারপর না খোঁজ মিলত ওই স্বামীস্ত্রীর, না মিলত আসল বা সুদের অঙ্ক।
এভাবে ৩১ জনকে তাদের জালে জড়িয়েছিল বাস্তবের বান্টি বাবলি ৫১ বছরের সুখবিন্দর সিং সাহানি এবং তার স্ত্রী ৪৯ বছরের শীতল সাহানি।
এক ব্যক্তি এভাবে এদের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নামলে বাকিরাও অভিযোগ জানাতে শুরু করেন।
পুলিশ এরপর ওই স্বামীস্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির খোঁজ পায়। তারপরই পঞ্জাবের জিরাকপুরের বাসিন্দা ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাধারণ মানুষকে লোভনীয় শর্তে কিছু না জেনে এভাবে বিনিয়োগ না করতে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা