National

ইচ্ছাপূরণ করতে এই ধর্মস্থানে খেলনা এরোপ্লেন দান করেন ভক্তরা

কোনও ধর্মস্থানে গিয়ে আর যাই হোক কেউ খেলনা দান করেননা। কিন্তু এখানে সেটাই হয়ে চলেছে প্রতিদিন। খেলনা মানে যে কোনও খেলনা নয়, কেবল খেলনা এরোপ্লেন।

Published by
News Desk

ধর্মস্থানে এসে অনেক মানুষ তাঁর মনের ইচ্ছা জানিয়ে যান। ঈশ্বরের কাছে ইচ্ছা পূরণের জন্য আবেদনও জানিয়ে যান মনে মনে। হিন্দুদের মন্দির, খ্রিস্টানদের গির্জা, মুসলিমদের মসজিদের মত শিখ ধর্মাবলম্বীরা গুরুদ্বারে উপাসনা করতে হাজির হন। সেখানে তাঁরা তাঁদের মনোবাঞ্ছার কথা জানিয়ে আসেন।

পঞ্জাবের জলন্ধরে এমন এক গুরুদ্বার রয়েছে সেখানে এক বিশেষ ইচ্ছাপূরণ করতে বহু ভক্তের ভিড় হয়। সেখানে তাঁরা হাজির হন একটি খেলনা এরোপ্লেন হাতে। সেই খেলনা দান করেন গুরুদ্বারে।

জলন্ধরের শহিদ বাবা নিহাল সিংজি গুরুদ্বার তাই অনেক বেশি পরিচিত এরোপ্লেন গুরুদ্বার নামে। যাঁরা বিদেশে যেতে চান তাঁরা যাতে সহজে ভিসা পেয়ে যান, যাতে নিশ্চিন্তে উড়ে যেতে পারেন বিদেশে, সেজন্য এই গুরুদ্বারে হাজির হন। প্রচলিত বিশ্বাস মেনে এখানে খেলনা এরোপ্লেন দান করেন। যাতে তাঁরা সহজে ভিসা পেয়ে যান।

কবে থেকে এমন এক বিশ্বাসের জন্ম তা সঠিক করে কেউ বলতে পারেননা। তবে একটি কাহিনি রয়েছে এর পিছনে। কথিত আছে কয়েকজন তরুণ ভিসা পাচ্ছিলেন না। তাঁরা এই গুরুদ্বারে এসে হাজির হন। হাতে ছিল একটি খেলনা এরোপ্লেন। সেটি তাঁরা গুরুদ্বারে দান করেন। ঈশ্বরের কাছে একমনে প্রার্থনাও করেন। তারপরই তাঁরা ভিসা পেয়ে যান। এই ঘটনা জানার পর থেকেই মানুষের বিশ্বাস যে এই গুরুদ্বারে এরোপ্লেন দান করলে তাঁর আবেদন করা ভিসা তিনি সহজেই পেয়ে যাবেন।

এই গুরুদ্বারে এমন মনোবাঞ্ছা নিয়ে বহু ভক্তের হাজির হওয়া গুরুদ্বারে খেলনা এরোপ্লেনের ভিড় জমিয়ে দেয়। গুরুদ্বারের পরিচালন সমিতি সেগুলি এই গুরুদ্বারেই আগত শিশুদের হাতে তুলে দেয়।

শিশুরাও খেলনা এরোপ্লেন পেয়ে খুশি হয়। আর গুরুদ্বারে জমতে থাকা এরোপ্লেনও অনেকটা খালি হয়। এই গুরুদ্বারে গেলেই কিন্তু খেলনা বিমানের সারির দেখা মেলে।

Share
Published by
News Desk