তাড়ি, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় মানুষের মদ্যপানের চাহিদা কিছুটা মেটায় তাড়ি। যা বাংলায় মূলত খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি হয়। এই তাড়ির মাদকতার টান অনেক সময়ই গ্রামবাসী এমনকি শহরের মানুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়।
এই তাড়ি অবশ্য কেবল বাংলা বলে নয়, দেশের অনেক প্রান্তেই স্থানীয় মদের চাহিদা মেটায়। কেরালায় এমন তাড়ির দোকানের সংখ্যা রীতিমত নজর কাড়া। সেখানে অবশ্য ২ ধরনের তাড়ি পাওয়া যায়।
একটি তাড়ি তৈরি হয় নারকেল গাছের রস থেকে। অন্যটি তৈরি হয় তাল গাছের রস থেকে। কেরালায় এই রস নারকেল বা তাল গাছের ডাল থেকে সংগ্রহ করা হয়।
মাটির হাঁড়িতে সারাদিনে দেড় লিটার রস পাওয়া যায়। যা দেখতে একদম দুধের মত। এই রসের হাঁড়ি নামানোর পর তাতে পচন ধরলে তাতে ৫ থেকে ৮ শতাংশ অ্যালকোহল তৈরি হয়। যা পানে মাদকতা তৈরি হয়।
সকালে ও বিকেলে এই রস সংগ্রহ করা হয়। প্রতি ৭৫০ মিলিলিটার বোতলবন্দি তাড়ির কেরালার দোকানগুলিতে দাম পড়ে ৭০ টাকার মতন। যা এতদিন এভাবেই ছোট ছোট দোকান করে বিক্রি হয়ে থাকে। কেরালায় একজন তাড়ি প্রস্তুতকারক একটি গাছের ডাল থেকে দেড় মাসে ৫০০ টাকা রোজগার করতেই পারেন।
এবার এই তাড়ির ব্যবসাকে আরও কিছুটা গোছানো চেহারা দিতে চাইছে কেরালা সরকার। রাজ্যের সাড়ে ৩ হাজার এই তাড়ির দোকানকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে চলেছে সরকার। যা তাদের অ্যানুয়াল লিকার পলিসি-র অন্তর্গত।
দোকানগুলিকে আগামী দিনে বার-এর মর্যাদায় উন্নীত করা হচ্ছে। তাছাড়া বেছে নেওয়া তাড়ির দোকানগুলির পরিচ্ছন্নতা ও সাজানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত কেরালায় পর্যটকদের ভিড়ও যথেষ্ট হয়। এখন বেশ কয়েকটি পর্যটকবহুল এলাকায় এমন তাড়ির দোকানের রমরমা রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা