লখনউ, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @Piergiorgio Mariniello
রাস্তায় থুতু ফেলার অভ্যাস এখনও কিছু মানুষের মধ্যে রয়েছে। অনেক জায়গায় প্রশাসনিক কড়াকড়ি না থাকায় তাঁরা এমনটা চালিয়েও যান। যা অন্যদের বিরক্ত করে।
আবার অনেকে সুলভ শৌচালয় থাকা সত্ত্বেও রাস্তার কোনও কোণায় প্রস্রাব করে থাকেন। এই প্রবণতা নির্মূল করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। যেমন এবার কঠোর হল নবাবের শহরের পুরসভা।
সেখানে রাস্তায় থুতু ফেলা বা যত্রতত্র প্রস্রাব করা, মলত্যাগ করা বন্ধ করতে নতুন পথ নিল লখনউ পুরসভা। সেখানে প্রথমে শহরবাসীকে সতর্ক করতে নানাভাবে প্রচারের রাস্তা নিল পুরসভা।
রাস্তায় ব্যানার বা হোর্ডিং লাগিয়ে মানুষকে সতর্ক করা। স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে সতর্ক করা। রেডিও সহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সতর্ক করা। কোনও পথই বাদ থাকছে না। এরপরেও মানুষ সতর্ক না হলে তাঁদের জন্য এক অন্য শাস্তি অপেক্ষা করছে।
রাস্তায় কাউকে থুতু ফেলতে বা প্রস্রাব বা মলত্যাগ করতে দেখলে তাঁকে পাকড়াও করে প্রথমে জরিমানা করা হবে। আড়াইশো টাকা জরিমানা হবে তাঁর।
তবে জরিমানা একমাত্র শাস্তি নয়। জরিমানার পাশাপাশি তাঁর নতুন নামকরণও হবে। তাঁর নাম দেওয়া হবে হয় ‘মিস্টার পিকু’ অথবা ‘মিসেস পিকু’ অথবা ‘মিস পিকু’। এটা জরিমানার চেয়েও লজ্জার হচ্ছে এমন কাজ করা মানুষজনের জন্য।
জরিমানা গুনে পার পাওয়া নয়, বয়ে বেড়াতে হবে একটি নাম। যা অন্যদের বোঝাবে যে এই মানুষটি কোনও সময় রাস্তায় থুতু ফেলা বা প্রস্রাব অথবা মলত্যাগ করে ধরা পড়েছিলেন। এটা জরিমানার চেয়েও অনেক বেশি অসম্মানের হবে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে এই উদ্যোগের সাফল্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা