ফাইল : গুয়াহাটির একটি স্কুলে পঠনপাঠন, ছবি - আইএএনএস
ভারতে শহর থেকে গ্রাম। সর্বত্রই স্কুল ছেড়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা যথেষ্ট উদ্বেগের। পারিবারিক অর্থাভাব অনেক সময়ই এই স্কুল ছুটের কারণ হয়। অনেক সময় এসব শিশুদের রোজগারের কাজে লাগিয়ে দেয় পরিবারই। স্কুল থেকে ছাড়িয়েই সেই রাস্তা বেছে নেন তাঁরা।
অনেক সময় পড়তে ভাল লাগেনা বলেও ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল ছেড়ে দেয়। পরিবারও বাধা দেয়না। এমন নানা কারণে ভারতের প্রায় সব প্রান্তেই স্কুল ছুটের এক বাৎসরিক লম্বা তালিকা তৈরি হয়। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশও পড়ছে। এবার যোগী রাজ্যে স্কুল ছুট রুখতে নেদারল্যান্ডসের একটি মডেল অনুসরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসে স্কুল ছুট রুখতে তারা একটি ‘আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ ব্যবহার করে। আগাম সতর্ক করা এই পদ্ধতিতে প্রতিটি পড়ুয়ার ওপর নজর রাখা হয়।
এটা দেখা হয় যে তারা কেউ ৪০ দিনের বেশি স্কুলে আসছে না কিনা। যদি তা পাওয়া যায় তাহলে নেদারল্যান্ডসের ‘আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ মতে, ওই পড়ুয়া পড়া ছাড়ার পথে হাঁটছে।
উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রী সহ ১২ জনের একটি দল নেদারল্যান্ডসে পাড়ি দিচ্ছেন এই ‘আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ পদ্ধতি রপ্ত করতে। যাতে তাঁরা ফিরে এসে সেই ব্যবস্থা উত্তরপ্রদেশে চালু করতে পারেন। যাতে সেখানে স্কুল ছুটের প্রবণতা কমে। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গেও কিন্তু প্রতিবছর স্কুল ছুটের সংখ্যা নেহাত কম নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা