National

মাঝ সমুদ্রে তুমুল পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি, একে অপরকে দোষারোপ

ডাঙায় এমন ঘটনা শোনা যায়। পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি, ইট বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। কিন্তু মাঝ সমুদ্রেও যে সেটা সম্ভব তা এবার দেখা গেল।

Published by
News Desk

প্রায় তখন তাঁদের নৌকা কন্যাকুমারীর কাছে। চারধারে শুধু জল আর জল। ডাঙার দেখা নেই কোথাও। সেখানেই গভীর সমুদ্রে মাছধরার কাজ চালাচ্ছিলেন কর্ণাটকের মৎস্যজীবীরা।

হঠাৎ তাঁরা লক্ষ্য করেন তাঁদের নৌকা ঘেরা হয়ে গেছে। চারধার দিয়ে তাঁদের ঘিরে ধরেছেন লাগোয়া রাজ্য তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীরা। তারপর যা ঘটে তার জন্য প্রস্তুত ছিলেননা কর্ণাটকের মৎস্যজীবীরা।

অভিযোগ তাঁদের ঘিরে নিয়ে তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীরা তাঁদের লক্ষ্য করে নৌকা থেকেই পাথর ছুঁড়তে থাকেন। কিছু জলে পড়ে যায়। আর কিছু পাথর এসে তাঁদের নৌকায় পড়ে। এমনকি তাঁদের গায়েও পড়ে। এই পাথর বর্ষণের মাঝে পড়ে পাথরের ঘায়ে আহত হন ৮ জন।

এই ঘটনা যে মাঝ সমুদ্রে তাঁদের সঙ্গে ঘটেছে তার প্রমাণ হিসাবে পুরো ঘটনার ভিডিও তুলে নেন কর্ণাটকের আক্রান্ত মৎস্যজীবীরা। পরে সেই ফুটেজ তাঁরা পুলিশে তাঁদের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ হিসাবে দাখিল করেন।

মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, যদি এমন হয়েও থাকে যে কর্ণাটকের মৎস্যজীবীরা তাঁদের নির্দিষ্ট জলসীমা অতিক্রম করে তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীদের এলাকায় ঢুকে মাছ তুলছিলেন, তাহলে তা নির্দিষ্ট দফতরে জানানো যেত। তাঁরা ব্যবস্থা নিতেন। কিন্তু পাথর বর্ষণের অধিকার কে দিয়েছে?

পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত যে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাঁদের প্রধানত ১২ নটিকাল মাইল থেকে ২০০ নটিকাল মাইল পর্যন্ত জলভাগে মৎস্য শিকার করতে দেওয়া হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk