National

ছুঁড়ে দিয়েও শেষরক্ষা হল না, মাঝ সমুদ্র থেকে সোনা তুলে আনলেন ডুবুরিরা

বাঁচার জন্য বিপুল পরিমাণ সোনা মাঝ সমুদ্রে ছুঁড়ে দিয়েছিল ৩ জন। কিন্তু সমুদ্রের তলায় নেমেও সেই সোনা তুলে আনলেন ডুবুরির। মাঝ সমুদ্রে ঘটল নাটকীয় ঘটনা।

Published by
News Desk

যাকে বলে নাটকের ঘনঘটা। টানটান কাহিনিকেও হার মানায় এই বাস্তবের ঘটনা। কি নেই এই ঘটনায়। জলেই লুকিয়ে অপেক্ষা আছে। মাঝ সমুদ্রে নৌকাকে ধাওয়া আছে।

বেগতিক বুঝে সমুদ্রের জলে বিপুল পরিমাণ সোনা ফেলে দেওয়া আছে। আবার সমুদ্রের গভীর থেকে সেই সোনা তুলে আনাও আছে।

খবরটা ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের কাছে একটি গোপন সূত্রে পৌঁছেছিল। খবরটা পেয়েই ডিআরআই যোগাযোগ করে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে। তারপর তারা যৌথভাবে তামিলনাড়ুর রামনাথপুরমের মণ্ডপমের কাছে বঙ্গোপসাগরে অপেক্ষায় থাকে।

মাঝ সমুদ্রে এক জায়গায় লুকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে একটি নৌকার দেখা পাওয়ার আশায়। খবর ছিল শ্রীলঙ্কা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা মাঝ সমুদ্রে হাতবদল হবে।‌ সোনার সেই পার্সেল সংগ্রহ করবে মণ্ডপমের একটি চোরাচালান দলের ৩ সদস্য।

যা খবর ছিল হুবহু মিলে যায়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি নৌকা দেখা যায় মাঝ সমুদ্রে। যাতে ৩ জন ছিল। দেখা মাত্রই নৌকাটিকে ধাওয়া করে অপেক্ষায় থাকা উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ।

জাহাজ দেখে নৌকাও গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। শুরু হয় মাঝ সমুদ্রে নাটকীয় ধাওয়া। তবে বেশিক্ষণ জাহাজের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি নৌকাটি।

উপকূলরক্ষী বাহিনী ও ডিআরআই-এর আধিকারিকরা নৌকাটিকে মাঝ সমুদ্রেই থামিয়ে নৌকায় উঠতেই ওই ৩ জন একটি পার্সেল সমুদ্রের জলে ফেলে দেয়। চোখের নিমেষে সেটি জলে তলিয়ে যায়। ডিআরআই আধিকারিকদের বুঝতে অসুবিধা থাকে না ওই পার্সেলেই রয়েছে সোনা।

উপকূলরক্ষী বাহিনী এবার ওখানেই সমুদ্রে ডুবুরি নামায়। তাদের ডুবুরিরা ওই মাঝ সমুদ্রের গভীর জলে নেমে যান। সমুদ্রের তলদেশে খোঁজাখুঁজি করতে সেখানে এক জায়গায় পার্সেলটি পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।

দ্রুত সেটিকে তুলে আনা হয় ওপরে। পার্সেল খুলতে দেখা যায় সোনার বার, চেন এবং আরও নানা আকারে সোনা রয়েছে।

হিসাবে দেখা যায় মোট ১৭ কেজি ৭৪ গ্রাম সোনা রয়েছে। যার বাজারে এখন দাম ১০ কোটির ওপর। নৌকায় থাকা ৩ জনকে গ্রেফতার করে ডিআরআই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk