ভারতীয় বিয়ে, প্রতীকী ছবি
বিয়েটা স্থির হয়েছিল মেয়ের বাড়ির এক আত্মীয়ের হাত ধরে। কন্যাপক্ষের সকলেরই অগাধ বিশ্বাস ছিল ওই আত্মীয়ের ওপর। তাই বিয়ে স্থির হলেও সেভাবে বরের সম্বন্ধে কোনও খোঁজ নেওয়ার রাস্তায় হাঁটেননি তাঁরা। বিশ্বাসে ভর করে বিয়ের আয়োজনও পাকা করে ফেলেন।
বিয়ের দিন বরযাত্রী নিয়ে বর হাজির বিয়ে করতে। কনের বাড়ির পুরোহিতের কিছু আচার অনুষ্ঠান থাকে বরের সঙ্গে। সেই কাজ শুরু হয়।
এখানেই বরকে প্রথমবার দেখেন পুরোহিত। রীতি পালনের সঙ্গে সঙ্গে পুরোহিত বরকে বেশ কিছুটা সময় লক্ষ্য করার পর আস্তে করে উঠে যান কনের পাশে।
কনে তখন আলাদা একটি ডায়াসে বসে আছেন। অতিথিরা আসছেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। পুরোহিত এর ফাঁকেই কনের কানে কানে কিছু বলেন।
পুরোহিতের কনেকে কথাটা বলার অপেক্ষা। তারপরই আচমকা পরিবেশ যায় বদলে। ২১ বছরের তরুণী কনে রণংদেহী মূর্তি ধারণ করে সটান উঠে পড়েন চেয়ার থেকে। তারপর জোর গলায় জানিয়ে দেন এ বিয়ে হচ্ছে না। তিনি বিয়ে করছেন না।
কনে যে কেন বিয়ে করতে রাজি নন তা তিনি তাঁর পরিবারের কয়েকজনকে জানিয়েও দেন। কন্যাপক্ষ এবার সাফ জানায় তারা কনের মতের সঙ্গে একমত। এ বিয়ে হবেনা।
কেন বিয়ে হবেনা? কন্যাপক্ষ জানায় বর মানসিক ভারসাম্যহীনতার শিকার। কিন্তু সেকথা তাদের লুকিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল।
এমনকি তারা যে সঠিক তা প্রমাণ করতে সকলের সামনে বরের হাতে কিছু ১০ টাকার নোট তুলে দিয়ে তা গুনতে বলতে বলা হয় কত আছে? বর কিন্তু সকলের সামনে সে টাকা গুনে বলতে পারেননি।
যদিও এসব সত্ত্বেও বরপক্ষ দাবি করতে থাকে এভাবে বিয়ে ভাঙা যাবেনা। পুলিশ আসে। পুলিশ মধ্যস্থতার চেষ্টাও করে। কিন্তু কনে সাফ জানিয়ে দেন এ বিয়ে তিনি করবেন না। অগত্যা বরকে নিয়ে বরপক্ষ খালি হাতেই ফেরত যায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা