উদ্ধার হওয়া প্রস্তর মূর্তি, ছবি - আইএএনএস
যে দলটি এই খননকার্য চালায় তাদের অধিকাংশই ছাত্র। তবে ইতিহাস সম্বন্ধে তাঁদের আগ্রহ দেখার মত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ছাত্রদের ওই দল পৌঁছে গিয়েছিল এমন এক জায়গায় যেখানে কিছু নিদর্শন পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।
সেখানেই খননকার্য চালানোর পর একটি প্রস্তরখণ্ড উঠে আসে। মাটির তলা থেকে বার করে আনা ওই প্রস্তরখণ্ডে খোদাই করা ছিল এক রাজার মূর্তি।
মূর্তির এক হাতে একটি তরোয়াল ধরা রয়েছে। অন্য হাতে রয়েছে রত্নালঙ্কার। এই প্রস্তরখণ্ডকে বলা হচ্ছে হিরো স্টোন বা নায়ক পাথর। যা অত্যন্ত বিরল বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এই খোদাই করা প্রস্তরখণ্ডটি ভাল করে পরীক্ষা করার পর জানতে পারা গেছে যে এটি নবম শতাব্দীর। তামিলনাড়ুর হারুরের সিন্ধাপুরী গ্রামে খনন চালিয়ে যে প্রস্তরখণ্ডটি মিলেছে তা চোল বংশের সময়ের।
যে রাজার মূর্তি খোদাই করা রয়েছে তা চোল বংশেরই কোনও এক রাজার। গবেষকরা জানাচ্ছেন এই পাথরের খণ্ডটি সে সময়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতিও তুলে ধরছে।
অন্যদিকে এই ধরনের পাথরের খণ্ড রক্ষণাবেক্ষণের কোনও নীতি ভারত সরকারের নেই। তাই এই বিরল পাথরটিকে যাতে সংরক্ষিত করা হয় সেজন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে এএসআই।
ধর্মপুরী আর্টস কলেজের ইতিহাস নিয়ে উৎসাহী ছাত্রদের এই খোঁজকে যথার্থ স্বীকৃতিও দিয়েছে এএসআই। এই স্বীকৃতি ছাত্রদের আরও নতুন নতুন খোঁজে উৎসাহ যোগাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা