National

দুপুরে কেবল জোয়ার বাজরার পদ খেয়েই থাকতে হল প্রধানমন্ত্রী সহ সাংসদদের

মধ্যাহ্নভোজনে কেবল জোয়ার, বাজরা, রাগী দিয়ে তৈরি নানা পদ। এছাড়া অন্য কোনও খাবার নেই। তাই খেয়েই খুশি হতে হল প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের সব সাংসদকে।

Published by
News Desk

দেশের সংসদে আগত সাংসদরা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন। তাঁদের সকলের খাওয়া আলাদা। খাবার আলাদা। মুখে ভাল লাগার স্বাদও আলাদা।

কেউ নিরামিষাশী, কেউবা আমিষ ছাড়া খাবার মুখে তুলতে পারেননা। কিন্তু সেসব পছন্দ একদিনের জন্য বিসর্জন দিতেই হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও কেবল জোয়ার, বাজরা ও রাগী দিয়ে তৈরি নানা পদ খেতে হল মধ্যাহ্নভোজনে।

অবশ্য সেসব খেয়ে সকলেই বেজায় খুশি। জোয়ার, বাজরা, রাগীর নানা পদের স্বাদ এতটাই ভাল লাগল প্রধানমন্ত্রীর যে তা জি২০ বৈঠকেও পরিবেশন নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।

একটা সময় ছিল যখন ভারতে অতি দরিদ্র মানুষের খাবার হিসাবে পরিগণিত করা হয় জোয়ার, বাজরা, রাগীকে। শুষ্ক, রুক্ষ স্থানে এই জোয়ার, বাজরা বা রাগী হয়ে থাকে। খুব একটা পরিচর্যার দরকার পড়েনা এই শস্য উৎপাদনে।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা বাড়তে থাকে। বিজ্ঞানীরা জানান জোয়ার, বাজরা ও রাগী শরীরের পক্ষে কতটা উপকারি। আর তা জানার পর এখন জোয়ার, বাজরা ও রাগী রীতিমত ধনীদের পাতও অলঙ্কৃত করছে।

২০২৩ সালকে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে আন্তর্জাতিক মিলেটস ইয়ার বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মিলেটস বলতে এই জোয়ার, বাজরা, রাগীকে বোঝায়।

২০২৩ সাল মিলেটস ইয়ার হিসাবে পালন করার আগে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার সংসদে একটি মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করেন। সেখানে কেবল জোয়ার, বাজরা ও রাগীর বিভিন্ন পদ খেতে দেওয়া হয়।

মেনুতে ছিল বাজরার রাবড়ি, রাগীর রুটি, জোয়ারের হালুয়া, রাগী ধোসা সহ নানা পদ। যা এতটাই সুস্বাদু হয়েছিল যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাংসদরা সকলেই পেট ভরে নানা পদ খান, স্বাদের জয়জয়কারও করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk